পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3ዓቑ কোন পথে ? “গান্ধীবাদীদের আমাদের সঙ্গে যোগ দেবার জন্য বোঝাবার কোন প্রকার চেষ্টা করা হল না । আশ্চর্যের কথা, যখনই আমাদের কর্মীদের গ্ৰেপ্তার ও কারারুদ্ধ করা হয়েছে আমাদের বলা হয়েছে, তা গণসংগ্ৰাম নয়। বড়জোর তাকে বলা যেতে পারে গান্ধীবাদী-মার্ক সংগ্ৰাম । যখন অধিক সংখ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যা হয়েছিল, আমাদের বলা হল সবকিছু শান্ত ছিল এবং কোন লড়াই হয়নি। এবং এই সব অদ্ভুত যুক্তির উপরে ঠাট্টা ও বিদ্রুপ। স্নাম্পপূর্ণ স্থির ও আবেগহীন দৃষ্টিতে আমরা কী করেছি। তার একটা হিসাব নেওয়া যাক। প্ৰথমত হয়ত আমরা দাবি করতে পারি যে, এতদিন পৰ্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপাস এবং ইংরেজ সরকারের যুদ্ধপ্ৰয়াসের সঙ্গে সহযোগিতা আমরাই ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছি। যে কেউ সহজেই কল্পনা করতে পারে, আমাদের নিয়মিত আপসবিরোধী আন্দোলন যদি না চলত। তাহলে হাই কমাণ্ড এতদিনে দেশকে কোন রসাতলে নিয়ে যেত । দ্বিতীয়ত, হয়ত আমরা দাবি করতে পারি দেশের মধ্যে এবং বিশেষ করে কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে সংগ্রামের একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছি। গত আঠারো মাস ধরে জাতীয় সংগ্রাম শুরু করার পরিকল্পনাকে মহাত্মা গান্ধী নিয়মিতভাবে বিরুদ্ধতা করা সত্ত্বেও, এবং অন্ত আগে, ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, তিনি যুদ্ধপ্ৰয়াসে ইংরেজদের সহযোগিতা করার পক্ষে থাকা সত্ত্বেও আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি কংগ্রেস সংগঠনগুলিকে “সত্যাগ্ৰহ” কমিটিতে রূপান্তরিত হবার আদেশ দিচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রদেশের "নেতা”দের নির্দেশ দিচ্ছে তারা যেন সার্ট প্যান্ট পরে কুচকাওয়াজ শুরু করে। অদ্ভুত এই রূপান্তর কি DBDDB BDDBS BEBD D DDDBLL DY D KYY sEHLL rSLK DD মাসে রামগড়ে যদি আপসবিরোধী সম্মেলন না হত ? শেষ হলেও যা তুচ্ছ নয়, তা এই যে, হয়ত আমরাই দাবি করতে -পারি, যেটুকু শক্তি ও সুম্বল আমাদের আয়ত্তাৰীনে আছে তাই নিয়ে