পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্থায়ী জাতীয় সরকার ৮ই জুন ১৯৪০, কার্শিয়ং থেকে প্রদত্ত সম্পূর্ণ বিবৃতি । মহামহিম বড়লাটের সাম্প্রতিক বিবৃতি, কমাণ্ডার-ইন-চিফ-এর উক্তি এবং প্ৰাদেশিক গভর্ণরদের চালচলন থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, অবশেষে ব্রিটেনের যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ইংরেজ সরকার ভারতকে কাজে লাগানোর সত্যিকার একটা প্ৰয়াস করতে যাচ্ছে এবং এই প্ৰয়াস করা হবে ভারতের স্বাধীনতার দাবি পুরণ না করেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ইংরেজ সরকার এই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করার সাহস পেয়েছে মহাত্মা গান্ধীর সাম্প্রতিক উক্তিগুলি থেকে যাতে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় পরিষ্কার বলেছেন যে গ্রেট ব্রিটেনকে বিপদের সময় ব্যতিব্যস্ত করা ঠিক হবে না। এই অভিমত কেবলমাত্ৰ গান্ধীবাদী নেতারাই সমর্থন করেন না, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুও করেন । অতএব যদি এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের নতুন কাৰ্যপদ্ধতির জন্য কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিই পরোক্ষভাবে দায়ী তাহলে বিশেষ ভুল হবে না । যতদূর আমি বুঝতে পারছি, এইদিকে ইংরেজ সরকাষ তাদের প্রয়াস সহজে আলগা করবে না। ফলে, হরিপুরা কংগ্রেসের যুদ্ধ প্রস্তাবকে যারা ধরে আছে তাদের কাছে একটা গুরুতর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে যদি গ্রেট ব্রিটেনের সশস্ত্ৰ বাহিনীর আরও বিপৰ্যয় ঘটে, তাহলে ভারতের জনমত যাই বলুক তা অগ্ৰাহ করে। ইংরেজরা যে অনিবাৰ্যভাবে উত্তরোত্তর ভারতকেই আঁকড়ে ধরবে সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ভারত যতদিন পরাধীন থাকবে ততদিন ইওরোপীয় ব্যাপারে আমাদের কী আগ্রহ থাকতে পারে? আমরা আমাদের স্বাধীনত চাই এবং তা চাই অবিলম্বে। সরকার প্রদত্ত প্ৰতিশ্রুতি, যে