পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAN কোন পথে ? প্রতিশ্রুতি কোন এক ভবিষ্যৎকালে পূরণ করা হবে, আমাদের জনগণের মনে কোনই রেখাপাত করবে না । আমরা ইংরেজকে বিচার করব এখনই এবং এই মুহুর্তে আমরা কি পাচ্ছি তার ভিত্তিতে । রাজনৈতিক প্ৰতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র ভঙ্গ করার জন্য-এ রকম প্রচুর অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বাকচাতুৰ্যে ভরা প্ৰতিশ্রুতি দিয়ে সরকার যেন আবার আমাদের ধোক দিতে না আসে । সম্প্রতি কয়েক বৎসর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র নীতির বৈশিষ্ট্য হয়ে দাড়িয়েছে অদূরদর্শিতা। আর সব কারণের থেকে এই কারণেই গ্রেট ব্রিটেনের সর্বনাশ সাধিত হয়েছে। আশঙ্কা হচ্ছে একই অদুরদর্শিতা ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে ভর করে রয়েছে। তারা এখন ভারতের সাহায্যে ইংলণ্ডকে বঁাচানোর কথা চিন্তা করছে। কিন্তু পরাধীন ভারত কি করে ইংলণ্ডকে, তাই কেন, যে কোন দেশকে, বঁাচাতে পারে ? ভারতকে প্ৰথমে নিজেকে বঁাচাতে হবে । এবং নিজেকে তা বাঁচাতে পারে একমাত্র তখনই যখন হিন্দু ও মুসলিমরা অস্থায়ী সরকারের জন্য সম্মিলিত দাবি পেশ করবে এবং সেই অস্থায়ী সরকারের কাছে অবিলম্বে সব ক্ষমতা হস্তান্তরিত করা হবে। ইতিহাসের প্রতিটি বৈপ্লবিক সঙ্কটে এই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। ১৯৩৫-এর ভারত সরকার আইনের আনুষঙ্গিক কিছু পরিবর্তন সাধন করে বর্তমান গঠনতন্ত্রের আওতার মধ্যেই কেন্দ্ৰে এই অস্থায়ী জাতীয় BBBDBBBBD BD DBBD DDSSDDD DB D ED DBBDBDBD DDD সম্পূর্ণ সার্বভৌম ক্ষমতা দিতে হবে। কিছুকাল পরে, বর্তমান সঙ্কট যখন পার হয়ে যাবে, ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে অস্থায়ী জাতীয় সরকার ভারতের নবলব্ধ স্বাধীনতার সঙ্গে তাল রেখে যাতে বিশদভাবে ভারতের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে পারে সেইজন্য একটি কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেমব্রি আহবান করবে। অস্থায়ী জাতীয় সরকারের প্রথম কর্তব্য হবে, ভারতের নিরাপত্তা