পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্থায়ী জাতীয় সরকার ❖ዒፃፍ፡ যাতে সর্বাবস্থায় সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে। সেইজন্যে ভারতীয় জনগণকে সাধ্যমত পুরোপুরি অন্ত্রসজ্জিত করা এবং মিত্রভাবাপন্ন বৈদেশিক শক্তিদের সঙ্গে মৈত্রীচুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া । এই পন্থাগুলি যদি অবলম্বন করা হয়, তাহলে আমাদের আভান্তরিক বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে আতঙ্কিত হবার আর কোন কারণ থাকে না । ইওরোপে নাৎসীদের সামরিক সাফল্যলাভের ফলে ভারতের উপর কোন প্ৰতিকুল প্রভাব পড়তে পারে এরকম আশঙ্কাও আমাদের থাকবে না । ভারত যখন স্বাধীন হবে এবং নিজেকে রক্ষা করার মত যথেষ্ট শক্তি অর্জন করবে, তখন সে অন্যান্য মিত্ৰ দেশগুলিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে 9ts অতএব ভারতীয়দের ঠিক এই মুহুর্তের কর্তব্য “ভারতের জনগণকে সব ক্ষমতা দিতে হবে।” এই শ্লোগানের জন্য এক হয়ে দাঁড়ানো এবং সম্পূর্ণ সার্বভৌম ক্ষমতাসম্পন্ন এক অস্থায়ী সরকারের দাবি করা । এই দাবি দুনিবার হয়ে উঠবে। যদি তা ভারতের হিন্দুমুসলমানের মিলিত দাবি হয়। এই প্রশ্নে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ কি একমত হতে পারবে ? যদি পারে, তারা ভারতকে চিরতরে রক্ষা कवि ! দুৰ্ভাগ্যক্রমে এই দাবি যদি প্রত্যাখ্যাত হয়, তখন ভারতের জনগণকে সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে বলা ছাড়া আমাদের আর গত্যন্তর i ब ।। সসম্মানে আমি ব্রিটিশ সরকারকে সাবধান করে দিতে চাই, ভারত যতদিন পরাধীন থাকবে, তারা যেন ভারতের সহায়সম্বল নিজেদের কাজে লাগাবার চেষ্টা না করে। মহাত্মা গান্ধীর বা কোন গান্ধীবাদী নেতার বা নেতাদের সান্থনার বাণীতে তারা যেন নিজেদের বিপথচালিত না করে । এই নেতারা যখন আপিস ও সহযোগিতার কথা বলে, তারা তখন ভারতীয় জনতার বা ভারতীয় জনমতের প্ৰতিনিধিত্ব করে না । কোন কোন মহলে ইদানীং বলা হচ্ছে যে নাৎসীদের সাফল্যের দরুন বর্তমান যুদ্ধ আর সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ নয়। SS