পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str$ Øቐተማ °ዘርst ? ব্রিটিশ জনগণকে তাদের একথা বলার দরকার হচ্ছে কেন, তারা শ্মশানযাত্রীর মত গম্ভীর মুখ করে যেন ঘুরে না বেড়ায় ? দুনিয়াকে একথা বলার দরকার হচ্ছে কেন যে, গ্রেট ব্রিটেন যদি নাৎসী-অধুষিত হয়, তবু সাম্রাজ্য লড়াই চালিয়ে যাবে এবং যথাকলে সেদিন দেখা দেবে যখন নিয়া দুনিয়া সাবেকী দুনিয়াকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসবে ? ইংরেজরা তাদের একরোখা নাছোড়বান্দা স্বভাব ও নিঃশঙ্ক মনোবলের জন্য বিখ্যাত । সম্ভবত তারা আজ তাদের ইতিহাসের কঠিনতম অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন। দেখা যাক কীভাবে তারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় । তরুণ জেনারেল ও সামরিক কুশলীদের উদ্ভাবিত নতুন এক সামরিক টেকনিকের সহায়তায় নাৎসীরা অঘটন ঘটাতে সমর্থ হয়েছে। মিত্ৰশক্তি বয়োবৃদ্ধ সেকালের যুদ্ধখ্যাত জেনারেলদের উপর নির্ভর করেছে। দেখা গেল জেনারেলরা পেরে উঠছেন না । নাৎসী জেনারেলরা তাদের নতুন টেকনিক কি নিঃশেষ করে ফেলেছে ? মিত্রপক্ষের কি সামরিক কোন গুপ্ত রহস্য আছে অথবা কোন নতুন টেকনিক কি জানা আছে ? এই দুটি প্রশ্নের উত্তরের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। জার্মান সেনাবাহিনীর রাসায়নিক প্ৰস্তুতির কথা আমরা অনেক শুনে আসছি। সত্যই কি তারা রাসায়নিক যুদ্ধের নতুন কোন ত্রুটিহীন টেকনিক উদ্ভাবিত করেছে ? যদি তারা তা করে থাকে, তাহলে আগামী দিনে আমরা তার প্রমাণ পাব । এবং তখন দেখা যাবে নতুন অবস্থার মধ্যে মানুষের মনোবল কী করে টিকে থাকে। তা কি ভেঙে পড়বে, যেমন ইটালীয়ানদের বিমানের আক্রমণে সাহসী আবিসিনিয়ানদের মনোবল ভেঙে পড়েছিল ? অথবা আত্মিক শক্তি জাড়শক্তিকে পর্যাহত করবে ? বাস্তব দিক থেকে বিচার করলে, গ্রেট ব্রিটেন-আধুষিত হবার পর যুদ্ধ কী করে চলতে পারে, সত্যিই ভেবে ঠিক করা কঠিন। পাছে জাপান সুদূর প্রাচ্যে গোলমাল বাধায়, সেইজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে