পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরওয়ার্ড ব্লকের ভূমিকা t এই আপসের ফলে কংগ্রেসের সব দল-উপদলের পক্ষে একসঙ্গে কঁধে কঁধ মিলিয়ে ১৯৩০-এর আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে teशिक्ष बा७भी नस्gय छद्मछिल । ১৯৩৩-এ লড়াই স্থগিত রাখা এবং ১৯৩৪-এ নিখিল ভারত কংগ্ৰেস কমিটির সংসদীয় কাৰ্যক্রম গ্ৰহণ বামপক্ষকে বিদ্রোহী করে তুলল। তখনই কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টির উদ্ভব হয় এবং যথাসময়ে এই • দলের আবির্ভাব ও তাদের সক্রিয় ভূমিকার ফলেই নিয়মতান্ত্রিকতার দিকে যে প্রবণতা দেখা গিয়েছিল তা অনেকাংশে নিরন্ত হয়। কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি শীঘ্রই কংগ্রেসের ভিতরকার বামপন্থীদের মিলন কেন্দ্র হয়ে দাড়াল । ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৭ পৰ্যন্ত সংখ্যা ও প্রভাব এই উভয় দিক থেকেই কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি যথেষ্ট প্রাধান্য লাভ করে। কিন্তু ১৯৩৮-এর ফেব্রুয়ারিতে হরিপুরায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেস অধিবেশনে দেখা গোল সি.এস.পি.-র অগ্ৰগতি থেমে গেছে। হরিপুরা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টের অভিভাষণে আমি বলেছিলাম কংগ্রেসের ভিতরে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টির ভূমিকা সমাজতান্ত্রিক ভূমিকার বদলে হওয়া উচিত সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বামপন্থীর ভূমিকা এবং একমাত্র এই শেষোক্ত ভূমিকা পালন করেই তা অগ্রগতি বজায় রাখতে পারবে । হরিপুৱা কংগ্রেসের পর সোশ্যালিস্ট ও কমিউনিস্ট বন্ধুদের সঙ্গে এ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হয়, তঁরা এই মতের সঙ্গে একমত হন। সাধারণভাবে সবাই বোধ করছিল, সোশ্যালিস্ট বা কমিউনিস্ট পাটিতে যোগ দিতে প্ৰস্তুত নয়, অথচ কংগ্রেসের ভিতরে যারা প্ৰগতিশীল, বৈপ্লবিক ও সামুজ্যৰাদবিরোধী তাদের নূনতম সাধারণ একটি কাৰ্যক্রমের ভিত্তিতে সংগঠিত করা দরকার। আমার আরও মনে হয়েছিল, একমাত্র এই উপায়েই দক্ষিণপন্থীদের আক্রমণ প্রতিহত করা "যেতে পারে এবং একটি মার্কসবাদী পার্টির বিকাশের ক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত হতে পারে । গান্ধী সেবা সঙ্ঘ, যাকে বলা যেতে পারে কংগ্রেসের বর্তমান সংখ্যা