পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नांशंत्रूद्ध अख्रिस्त्रांष እኳr፭S» এদেশের বামপন্থী আন্দোলনের সূচীমুখ হিসেবে কাজ করে চলেছে কেবলমাত্র কিষাণ সভা এবং ফরওয়ার্ড ব্লক । ১৯৪০-এর মার্চ মাসে রামগড়ে আমরা যখন নিখিল ভারত আপসবিরোধী সম্মেলনের অনুষ্ঠান করি, তখনই একথা সুস্পষ্ট হয়। সেখানে আমরা দেখতে পাই রায়পন্থীরা, কংগ্রেস সোশ্যালিস্টরা এবং ন্যাশনাল ফ্ৰণ্টপন্থীরা সম্মেলন বয়কট করে এবং গান্ধীবাদীদের সঙ্গে হাত মেলায়। আজ সন্দেহের সামান্যই অবকাশ আছে যে, যদি কিষাণ সভার, ফরওয়ার্ড ব্লক-এর অস্তিত্ব না থাকত, তাহলে গান্ধীবাদীরা গত বারো মাস ধরে যে নীতি ও কর্মপস্থা অনুসরণ করে চলেছে তার প্রতিবাদ করার মত একটি কণ্ঠস্বরও শোনা যেত না। আমাদের আরও একটি প্রশ্ন বিবেচনা করতে হবে : “গত এক বছরে আমরা বাস্তবিক কী কাজ করতে পেরেছি।” প্রথমত, আমরা দাবি করতে পারি, কংগ্রেস দলের মধ্যে নিয়মতান্ত্রিকতা ও আপসের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। আমরা তা সাফল্যের সঙ্গে প্ৰতিহত করেছি। আমাদের উদ্যোগ ছিল বলেই ইংরেজ সরকারের নীতির প্রতিবাদে কংগ্রেস মন্ত্রিসভাগুলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। যদি তারা বাধ্য না হত, তাহলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের দালাল হয়ে তাদের ভারত সরকারের যুদ্ধনীতিকে কাৰ্যকর করে যেতে হত । আজ অবধি সর্বপ্ৰকার প্রয়াস সত্ত্বেও ইংরেজ সরকারের সঙ্গে এখনও পৰ্যন্ত কোন আপসে আসা যে সম্ভব হয়নি এই জন্য আমরা বিধিসঙ্গতভাবে কিছু কৃতিত্ব দাবি করতে পারি। দ্বিতীয়ত, যুদ্ধ চালাবার ব্যাপারে কংগ্রেসের সহযোগিতালাভের সর্বপ্রকার প্রয়াস এযাবৎ আমরা ব্যর্থ করেছি। বন্ধুদের স্মরণে আছে, ১৯৩৯-এর সেপ্টেম্বর মাসে মহামান্য বড়লাট যখন যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য মহাত্মা গান্ধীকে সিমলায় আমন্ত্রণ করেন, তখন মহাত্মাজী জানান যে তঁর অভিমত এই যে, বর্তমান যুদ্ধ চলাকালে গ্রেট ব্রিটেনকে ভারতের বিনাশর্তে সাহায্য করা উচিত উল্লিখিত সাক্ষাৎকারের পরেই সংবাদপত্রের এক বিবৃতিতে মহাত্মাজী