পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 কোন পথে ? ওই কথারই পুনরুক্তি করেন। এতৎসত্ত্বেও, যে-কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি গান্ধীজিকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে, তা এখনও পৰ্যন্ত এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে তঁর অভিমত অগ্রাহ করেছে। কিষাণ সভা ও ফরওয়ার্ড ব্লক না থাকলে তা কি ঘটত ? তৃতীয়ত, সম্ভবত আমরা দাবি করতে পারি। যে আমরা সংগ্রামের একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছি। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। কংগ্রেস নেতারা সার্ট প্যাণ্ট পরে কুচকাওয়াজ করছে এবং কংগ্রেস কমিটিগুলিকে “সত্যা গ্ৰহ কমিটিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। তাছাড়া দক্ষিণপন্থী নেতাদের মুখে সর্বদা সংগ্রামের বুলি শোনা যাচ্ছে । এই সব কি সম্ভব হত যদি ফরওয়ার্ড ব্লক না থাকত এবং রামগড়ে আপসবিরোধী সম্মেলন যদি না বুঝিয়ে দিত জনমতের হাওয়া কোন দিকে বইছে ? আজি সংগ্রামের কথায় আকাশ-বাতাস যে ভরে উঠেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এবং আমাদের দেশবাসী যতই এই বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবে ততই তারা আপসের পথ থেকে দূরে সরে যাবে। পরিশেষে আমরা দাবি করতে পারি যে, আমাদের যতটুকু শক্তি ও সহায়সম্বল ছিল সব নিয়ে রামগড়ে আমরা আমাদের সংগ্রাম শুরু করি। গত তিন মাসে আমাদের সহকর্মীদের অনেকে, তাদের মধ্যে দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও আছেন, গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ হয়েছেন । ফরওয়ার্ড ব্লক-এর নিখিল ভারত ওয়াকিং কমিটির নজন সদস্য বর্তমানে কারাবাসে কিংবা অন্তরীণ অবস্থায় । তঁরা ছাড়াও, স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী, অধ্যাপক রঙ্গের মত কিষাণ সভার আরও অনেক নেতা এখন কারান্তরালে। রামগড়ে আমরা যে জাতীয় সংগ্রাম শুরু করেছি তা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ও প্রসারলাভ করছে। বিহারে ও উত্তরপ্রদেশে তা বেশ প্রবল হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে এই সংগ্রামের সূত্রপাত হয়। ১৯৪০-এর জানুয়ারি মাসে নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্নে। ১৯৩৯-এর সপ্টেম্বর মাসে সরকার কতকগুলি কঠোর অর্ডিনান্স জারী করে।