পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগপুর অভিভাষণ Nö সেইজন্য চতুর্থবারেও আমরা যদি ব্যর্থ হই, তাতেই বা কী এসে যায় ! চেষ্টা করে সার্থক না হওয়ার থেকে একেবারে চেষ্টা না করা অনেক বেশী অসম্মানজনক । সারা দুনিয়া আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দুনিয়ার স্বাধীন জাতিগুলি আমাদের সম্পর্কে কী ভাববে আমরা যদি আমাদের সামনে যে সুবৰ্ণ সুযোগ দেখা দিয়েছে।--ষে সুযোগ যে কোন জাতির জীবৎকালে দুর্লভ-ত হেলায় হারাই ? কিন্তু আমরা যদি লড়াই করে ব্যর্থ হই, কেউ আমাদের সম্বন্ধে খারাপ কিছু ভাববে না । আরেকটা দিক আছে যা আমরা অগ্ৰাহ্য করতে পারি না । আজ আমরা যদি দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করি, আজ থেকে বিশ বা পঞ্চাশ বছর পরে আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের আমাদের সম্পর্কে কী ধারণা হবে। আমরা কি তা ভেবে দেখব না ? ১৯১৪ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে যে নেতারা দেশকে বিপথে চালিত করেছিল তাদের সম্পর্কে "আজকের জনসাধারণ কী ভাবে ? সেইজন্য একথা অামি জোরের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা যদি দেশের ডাকে সাড়া দিতে না পারি এবং 'অবিলম্বে সংগ্রামে যোগ না দিই, তাহলে ইতিহাস বা ভবিষ্যৎ দেশবাসী কেউই আমাদের ক্ষমা করবে না । বারো মাস আগে ফরওয়ার্ড ব্লক যখন গঠিত হয় তখন আমরা আসন্ন সংগ্রামের ভাবনায় এবং তার জন্য কী করে আগে থেকে তৈরী ক্ল ওয়া যায়। সেই চিন্তায় প্রায় অভিভূত হয়েছিলাম । সে সময়ে আমরা জানতাম না। আমাদের পুর্ণ স্বরাজ অর্জন করার প্রয়াসে বাইরের ঘটনাবলী এবং আন্তর্জাতিক ঘটনাসন্নিবেশ যদি একান্তই আমাদের সাহায্য করে তা কতখানি করবে। সুতরাং আমাদের জীবনে ও কর্মে ‘আত্মনির্ভরতা’কে আমরা আমাদের লক্ষ্য হিসেবে গ্ৰহণ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আজ পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। বৈরী সাম্রাজ্যবাদগুলির মধ্যে যে যুদ্ধ চলেছে তাতে যারা পুরনো তারা সত্যিই নাকালের একশেষ হচ্ছে । প্ৰথম কয়েক সপ্তাহে জার্মানরা বিদ্যুৎগতিতে- আক্রমণ চালিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে কত রাজা ও S 9