পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগপুর অভিভাষণ Sos টিকে থাকে। তা কি ভেঙে পড়বে, যেমন ইটালীয়ানদের বিমানের আক্রমণে সাহসী আবিসিনিয়ানদের মনোেবল ভেঙে পড়েছিল ? অথবা আত্মিক শক্তি জড়শক্তিকে পরাহত করবে ? বাস্তব দিক থেকে বিচার করলে, গ্রেট ব্রিটেন অধুষিত হবার পর যুদ্ধ কী করে চলতে পারে ভেবে ঠিক করা কঠিন । পাছে জাপান সুদূর প্রাচ্যে গোলমাল বাধায়, সেইজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মিত্ৰপক্ষকে একটা সীমা অতিক্রম করে সাহায্য করা সম্ভব নয় । এবং এমন কোনই আশা নেই যে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস, জার্মানি ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে বিভেদ আনতে সমর্থ হবে। অনেক বেশি সম্ভবপর যে, একপক্ষে সোভিয়েত রাশিয়া এবং অপরপক্ষে জার্মানি ও ইটালী-এই দুই পক্ষের মধ্যে নিশ্চিত চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির শর্ত কী হতে পারে আমাকে যদি কল্পনা করতে বলা হয়, আমি তাহলে এই মত আনন্দাজ করব : (১) বলকান অঞ্চল বাদ দিয়ে ইওরোপীয় মহাদেশের উপর জার্মানির একাধিপত্য থাকবে। (২) ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ইটালীর একাধিপত্য থাকবে। (৩) বলকান ও মধ্যপ্রাচ্য হবে রুশ-প্রভাবিত অঞ্চল । (৪) আফ্রিকার সহায় সম্বল বৃহৎশক্তিরা সকলে ভাগ করে 6न्द } যেহেতু জার্মানি ও ইটালী উভয়েই এবং সম্ভবত সোভিয়েত রাশিয়াও আপাতত গ্রেট ব্রিটেনকে পয়লা নম্বরের সাধারণ শত্রু বলে গণ্য করে, সেইজন্য খুবই সম্ভব, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে ভাগ করে নেবারও তাদের এক পরিকল্পনা আছে। তারা জানে ডাচ ইণ্ডিজ থেকে অস্ট্রেলিয়া অবধি সমগ্ৰ দ্বীপবহুল সমুদ্রখণ্ডের উপর জাপানের লুব্ধ দৃষ্টি সর্বদা রয়েছে। সেইজন্য এই কাৰ্যোদ্ধারে তারা জাপানেরও সাহায্য চাইতে পারে । পরিস্থিতি যখন এই ব্রিটেন যদি জার্মান ইটালিয়ানদের আক্রমণের হাত থেকে নিজেকে ও তার সাম্রাজ্যকে বঁাচাতে না।