পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরওয়ার্ড ব্লকের পটভূমি ܛܘܪܓ* স্বরাজ্য পার্টিতে নানা ধরনের লোকের সমাবেশ ঘটেছিল। প্তাদের সবাই ষে দৃষ্টিভঙ্গীতে বা চরিত্রে বৈপ্লবিক বা আমূল পরিবর্তনপন্থী ছিলেন তা নয়। তবে “নৃত্যুনতম যে সাধারণ নীতিসূত্র" সবাইকে এক করে বেঁধে রেখেছিল তা রাজনীতিতে যুক্তিসঙ্গত দৃষ্টিভঙ্গী এবং পরিবর্তনের জন্য আকাজক্ষা। এইকারণে সাংগঠনিক যে কংগ্রেস পার্টি নির্ভেজাল গান্ধীবাদকে মেনে নিয়েছিল তার নামকরণ হয় “নো-চেঞ্জ পাৰ্টি” । এতদিন পরেও অনেকেরই মনে পড়তে পারে। যে, মূল বিরোধের বিষয় ছিল আইন সভায় যোগদান করা নিয়ে, “নো-চেঞ্জাররা’ বা গোড়া গান্ধীবাদীরা ছিল তার ঘোরতর বিরোধী । কিছুকাল বিদ্রোহের পর দুইপক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হল ও সমন্বয় ঘটল । এর সূত্রপাত হয় ১৯২৪ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ জীবিত থাকাকালে, যখন গান্ধী-দাশ-নেহরু চুক্তি সম্পাদিত হয়। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর কংগ্রেস ও স্বরাজ্য পার্টি কাৰ্যত এক হয়ে যায়। কংগ্রেস ১৯২৫ সালের কানপুর অধিবেশনে স্বরাজ্য পার্টির কর্মনীতি গ্ৰহণ করে এবং কংগ্রেস স্বরাজ্যবাদীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এই অবস্থা ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত লাহোর অধিবেশন পৰ্যন্ত চলতে থাকে। ১৯২৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর মনোনয়নের ফলে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু লাহোর কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হন । ঠিক এই সময়ে স্বরাজ্যদলীয় সর্বাধিনায়ক পণ্ডিত মতিলাল নেহরু সরে দাড়ান, তার ফলে স্বরাজ্যদলীয় কর্মনীতি বাতিল হয়ে যায় এবং দীর্ঘ ছয় বৎসর পরে “নো-চেঞ্জাররা” আবার ক্ষমতাসীন হয়। কিন্তু আইনসভা পরিত্যাগের প্রশ্ন ১৯৩০ সালে ছিল একেবারে অবান্তর । একে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করার পূর্বশর্ত হিসেবে গণ্য করবার কোনই 3धभक्म छिल भां । বিকাশের সাধারণ নিয়ম অনুসারে পরবর্তী অন্তর্বিপ্লব স্বরাজ্য পার্টির ভিতর থেকেই, অর্থাৎ ওই পার্টির প্রগতিশীল অংশ থেকে প্ৰত্যাশিত ছিল । কাৰ্যত কী হয়েছিল দেখা যাক । কংগ্রেস যাতে পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্য গ্ৰহণ করে সেই উদ্দেশ্যে à8