পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরওয়ার্ড ব্লকের পটভূমি SSS ভেঙে গেল। সমাবেশের মনোভাব থেকে কিন্তু স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল, কংগ্রেসের সদস্যেরা সাধারণভাবে সংগ্ৰামী কর্মপন্থা চেয়েছিল। লাহোরে গান্ধিজী নিঃসন্দেহে অসাধারণ কূটনীতির পরিচয় দিয়েছিলেন । কলিকাতায় দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস রাজনীতিতে বামপন্থী আর নগণ্য শক্তি নয়, কিন্তু এক বৎসর পরে মহাত্মা এমন চাল চাললেন যা অনেকের কাছেই মনে হয়েছিল মোক্ষম আঘাত । কংগ্রেসের অধিবেশনের আগেই পণ্ডিত জওহরলালকে ভাঙিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং সেই কংগ্ৰেসে গান্ধিজী নিজে স্বরাজের প্ৰস্তাব উত্থাপন করে। উগ্ৰপন্থীদের যা কিছু সংকল্প সব প্ৰায় বানচাল করে দিলেন । তৎসত্ত্বেও, যদিও সংখ্যার দিক থেকে কলিকাতার থেকে তাদের শক্তি হ্রাস পেয়েছিল, তবু লাহোরে যখন তারা মিলিত হয় তারা তখন অনেক বেশি দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ, অনেক বেশি অভিজ্ঞ, এবং এই সত্যাটি মহাত্মার নজর এড়ায়নি । লাহোরে থাকার সময় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মহাত্মার মনে কিছুই ছিল না, কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ১৯৩০ সালের এপ্রিলে তিনি আইন অমান্য অভিযান শুরু করে দিলেন । এ কথা ঠিকই, এই অভিযান রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার প্রভাব-প্রতিপত্তির চূড়ান্ত অভিব্যক্তি, তবু দু'বৎসর ধরে, বিশেষত লাহোর কংগ্রেসের সময় বামপন্থীরা ক্রমাগত যে চাপ দিয়ে চলেছিল তা যদি না দেওয়া হত তাহলে এই অভিযান একান্তই হত কি না, অন্ততপক্ষে আমার মনে এ বিষয়ে গভীর সন্দেহ আছে । যদিও ভবিষ্যৎ কর্মকৌশলের পরিকল্পনা নিয়েই সাংগঠনিক পার্টির সঙ্গে বামপন্থীদের প্রধান সংঘর্ষ বেধেছিল, খণ্ডযুদ্ধও কম হয়নি। তাতে নির্ভুলভাবে জানা যায় যে লাহােরে কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর মহলে কর্তৃত্বের মোহ বেশ দানা বেঁধে উঠেছিল। এই রকম কোন একটি খণ্ডযুদ্ধে “মঞ্চাধিকারী"দের স্বৈরাচরণের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদে বাংলাদেশের ডেলিগেটদের সঙ্গে আমি অধিবেশন ত্যাগ করে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হই। তৎক্ষণাৎ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শ্ৰীযুক্ত । শ্ৰীনিবাস আয়াঙ্গার, ডাঃ আলম, স্বামী গোবিন্দানন্দ ও আরো