পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSSR কোন পথে ? অনেকের নেতৃত্বাধীনে অন্যান্য প্রদেশের বামপন্থীরা তঁদের সঙ্গে এসে যোগ দেন। স্থির হয় অসংবদ্ধ বামপক্ষকে পার্টিরূপে সুসংবদ্ধ করতে হবে, এবং একমাত্র এই উপায়েই “মতের স্বৈরাচার” দমন করা যেতে পারে। এই পার্টির নামকরণ হয় কংগ্রেস ডেমক্র্যাটিক পার্টি এবং লাহোরে নবগঠিত এই পার্টির পরিচালকদের যথারীতি নিৰ্বাচিত रुद्र श् । আপাতত আমাদের একটু থামতে হবে, কারণ পূর্ববর্তী ঘটনাবলীর দিকে দৃকপাত করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নিশ্চয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, দেশবন্ধু দাশের মৃত্যুর পর থেকে স্বরাজ্যদলীয় নেতৃত্বের উপর মহলে সক্রিয়তার অভাব দেখা দিতে শুরু করেছিল। ১৯২৮ সালে এবং তার পরে গান্ধীবাদীদের দিক থেকে মিটমাটের জন্য এখন আরও প্ৰস্তাব আসতে লাগল, তখন স্বরাজ্যবাদী নেতৃত্বের সঙ্গে পুরোপুরি মিলন হয়ে গেল। মহাত্মা গান্ধী লাহোর কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য পণ্ডিত জওহরলালের প্রাথীতা সমর্থন করে এই মিলনকে দৃঢ় করেন। এর পরে যে সকল বৈপ্লবিক বা মৌলিক পরিবর্তনবাদীরা কোন অবস্থাতেই আপস মেনে নিতে রাজী ছিল না। তারা ছাড়া আর সবাই নতুন এই গান্ধীবাদী-স্বরাজ্যবাদী-জওহরবাদী নেতৃত্বের আওতায় সমবেত হল। এমন কি কিছু কিছু বামপন্থীও পণ্ডিত জওহরলালের ব্যক্তিগত প্ৰভাবে পড়ে একই পথ অনুসরণ করল। পণ্ডিত জওহরলাল প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হবার পর তঁর নিজের সৃষ্ট ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগের সঙ্গে কাৰ্যত সব সম্পর্ক ছিন্ন করে সে সময়কার। নতুন কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে চলতে শুরু করলেন। এইভাবে স্বরাজ্য পাটির অস্তিত্ব তার নিজের অধিনায়কের হাতেই লোপ পায় এবং তার কর্মপন্থাও বাতিল হয়ে যায়। অনুরূপভাবে ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগও তার অন্যতম প্ৰধান প্রতিষ্ঠাতার বিশ্বাসঘাতকতায় লোপ পায় । গান্ধীবাদী, জওহরবাদী ও স্বরাজ্যবাদী অনেকের মিলিত কঠিন বুহের সামনে দাড়িয়ে কংগ্রেসের মধ্যে যারা প্ৰগতিশীল ও বৈপ্লবিক নীতির সমর্থক ছিল, যাদের অধিকাংশই স্বরাজ্য পার্টির সঙ্গে