পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? কোন পথে ܘܢܓ݁ܶܓ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৩৭ সালে তার সদস্যরা প্ৰাদেশিক মন্ত্রিসভা গঠন করার পর থেকে । ক্ষমতার আস্বাদ পেয়ে এই পাৰ্টি আগের থেকে অনেক বেশী কর্তৃত্বকামী ও প্ৰতিহিংসাপরায়ণ হয়েছে তো বটেই, সেইসঙ্গে আরও ক্ষমতালোভী হয়ে উঠেছে। তাহলে এই পাটি নতুন ভারত গড়ে তোলার কর্তব্য সম্পাদন করতে সক্ষম হবে, আমরা কি তা বিশ্বাস করব ? যদি তাই করি তাহলে আমাদের উচিত হবে সম্পূর্ণভাবে তার প্রতি আমাদের অনুগত্য জানানো এবং যেটুকু বিরোধিতা আমরা করতে পারি তা “বন্ধুসুলভ” সমালোচনা করা । কিন্তু যদি আমরা বিশ্বাস না করি তাহলে উপায় কী ? তাহলে নতুন কোন পার্টির দরকার হবে, যে পার্টি বিকল্প তত্ত্ব ও নতুন পদ্ধতি দিতে পারবে। এইরকম পার্টির দুটি ভূমিকা পালন করতে হবে-একটি এখনকার জন্য, আরেকটি দূর ভবিষ্যতের জন্য। এই ভূমিকা দুটি পালন করার জন্য নতুন পাটিকে গণভিত্তিক হতে হবে এবং গান্ধীবাদীরা আজ যতখানি গণভিত্তি দাবি করতে পারে তার চেয়েও আরও ব্যাপক করতে হৰে সেই গণভিত্তি । এই গণভিত্তি একমাত্র তখনই সম্ভব যদি সেই পাটি জনসাধারণের মধ্যে প্রচার চালায় এবং জনসাধারণকে সদস্যভুক্ত করে . গ্রেট ব্রিটেনের সোশ্যালিষ্ট লীগ বা ভারতের বর্তমান সি. এস. পি.র মত কোন সংগঠনের পক্ষে গণআন্দোলনের উদ্যোক্তা বা মুখপাত্র হওয়া কখনই সম্ভব নয়। তা শূন্যস্থিত এমন একটা পদার্থ হয়ে থাকবে যার মাটিতে কোন শিকড় নেই । এই রকম পার্টির কী ভূমিকা হওয়া উচিৎ সে সম্পর্কে যথেষ্ট বিভ্ৰান্তি রয়ে গেছে। বস্তুতপক্ষে এই পার্টিকে দুটি ভুমিকা পালন করতে হবে—একটি অব্যবহিত আরেকটি চুড়ান্ত। অব্যবহিত ভূমিকা আপসহীন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের ভূমিকা। চূড়ান্ত ভূমিকায় লক্ষ্য সংগ্রাম পরবর্তী সময়। জাতীয় পুনর্গঠনের সেই সময়কার ভূমিকা হবে সমাজতান্ত্রিক ভূমিকা । সংগ্রামের সময় সমাজতান্ত্রিক প্রচার চালান যেতে পারে এবং চালানো উচিত, কিন্তু তখন পার্টির ভূমিকা