পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাজাতি সদন ৯ই আগস্ট ১৯৩২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ‘মহাজাতিসদনের ভিত্তিস্থাপন উপলক্ষে নেতাজীর ভাষণ । বহুদিনকার এক স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করবার প্রথম প্রচেষ্টা উপলক্ষ্যে আজ আমরা সকলে একত্রিত হয়েছি। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য র্যারা আগ্ৰপ্ৰাণ চেষ্টা এবং সকল প্রকার ত্যাগ স্বীকার ও নিৰ্যাতন ভোগ করে আসছেন, তঁরা অনেকদিন থেকে একটা অভাব বোধ করে আসছেন ; সে অভাব একটা গৃহের, যেখানে তঁদের যাবতীয় সেবা কাৰ্য আশ্রয় পেতে পারে এবং যেটা তাদের আশা, আকাজক্ষা, স্বপ্ন ও আদর্শের একটা বাহন্ত প্ৰতীক স্বরূপ হতে পারে। ইতিপূর্বে আমাদের জাতীয় নিকেতন নির্মাণের চেষ্টা একাধিকবার করা হয়েছে কিন্তু কৃতকাৰ্য হয়নি। পরিশেষে আপনার পবিত্র করকমলের দ্বারা “মহাজাতি সাদনের’ ভিত্তি স্থাপনা আজ করা হবে । আমাদের পরম সৌভাগ্য যে আমরা আজ। আপনাকে আমাদের মাঝে পেয়েছি। এবং আপনার দ্বারা সেই বীজ বপন করাতে পারছি। যার ফলের দ্বারা আমরা একদিন ভবিষ্যৎ ভারতের জাতীয় জীবনকে পরিপুষ্ট ও সুসমৃদ্ধ করে তুলতে পারব। আজকার এই শুভ অনুষ্ঠানে আমাদের অতীত ও ভবিষ্যতের কথা আপনাআপনি মনে আসছে। এই ভূমিতেই সেই আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল যার দ্বারা আমাদের ধর্ম ও কৃষ্টি সংস্কারের ভিতর দিয়ে পুনর্জীবন লাভ করেছে। এই আন্দোলন প্ৰাদেশিকতার গণ্ডী মানেনি —এমনকি জ্বাতীয়তার গণ্ডীও অতিক্রম করেছিল। রামমোহন ও রামকৃষ্ণ যে বাণী দিয়েছিলেন-ভা কি বিশ্বমানবের জন্য নয় ? তঁাদের ভিতর দিয়ে কি সুপ্তোখিত, নবজাগ্ৰত ভারত আত্মপ্ৰকাশ লাভ করেনি ? আমরা জানি যে আমরা তঁদেরই কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী ।