পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sto কোন পথে ? করা হয়। সরকারী মুখপাত্র আবেদন দুটির ঘোরতর বিরোধিতা করেন। শেষবার অন্যতম ম্যাজিস্ট্রেট মিস্টার ওয়ালি-উল-ইসলাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন, কিন্তু এই মন্তব্য করতে বাধ্য হন যে যতদিন পৰ্যন্ত সরকার ভারতরক্ষা নিয়মাবলীর ২৬ ধারা অনুযায়ী বিনা বিচারে আমাকে আটক রাখার হুকুম প্ৰত্যাহার না করছেন, ততদিন তঁর আদেশ নিস্ফল থাকবে। অতএব দিনের আলোর মত এ কথা স্পষ্ট, সরকার ষে নীতি অনুসরণ করে চলেছেন তা বিচারবিভাগীয় ট্ৰাইবিউন্যালকে স্ববিবেচনানুযায়ী চলতে বাধা দিচ্ছে এবং আইন প্রয়োগকে ব্যাহত করছে। স্থানীয় সরকারের কার্যকলাপ আরও বেশি আপত্তিকর বলে মনে হয় যদি এ কথা স্মরণ করা যায় যে তঁরা এই ধরনের মামলা সম্পর্কে ভারত সরকারের যে নির্দেশ ছিল তা আমলেই আনেননি । সরকারের নীতির আরেকটি আশ্চৰ্য দিক, দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে একই সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে মামলা। আমার একাধিক বক্তৃতাকে যদি আদালতের বিচারের বিষয় করা অভিপ্রেত হত, দুজন মাজিস্ট্রেটের সহায়তা না নিয়েও তা ভালোভাবেই করা যেত, কারণ শহর কলিকাতার চৌহদির মধ্যেই বিগত বারো মাসে আমি অসংখ্য বক্তৃতা দিয়েছি । এইজন্যে সাধারণ লোকেও ভাবতে বাধ্য হচ্ছে যে, সরকার আমাকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য এতই উদগ্রীব যে আইনের তুণে আরও একটা তীর মজুত রাখার ব্যবস্থা করেছেন। সৰ্বশেষে, সরকারের কার্যকলাপ নিরপেক্ষ যে কোন ব্যক্তির কাছে পুরোপুরি অভিসন্ধিমূলক বলে প্ৰতিভাত হবে, যেহেতু তথাকথিত সরকারী স্বার্থবিরোধী কাজ অনুষ্ঠিত হবার দীর্ঘকাল পরে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত কাৰ্য যদি বাস্তবিকই সরকারী স্বার্থবিরোধী হয়ে থাকে, তাহলে সরকার বহু পুর্বে, অর্থাৎ তথাকথিত অপরাধ যখন অনুষ্ঠিত হয় তখনই, ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে পারতেন। SDBBDB BBBDDBDB uDD D DD DDBDBBDBBDD OBB TLEE আমার মত লোকদের প্রতি আপনাদের মনোভাব একবার তুলনা