পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SCR কোন পথে ? সরকারের সমর্থনে সরকারী পক্ষ যদি ক্যাপ্টেন র্যামসে, এম. পি.র নজীর দেখাবার চেষ্টা করেন, তাহলে আমাকে বলতে হবে যে ক্যাপ্টেন রামসের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্নপ্রকার। তঁর বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। সব কিছু ঘটনা আমাদের জানা না থাকায়, পক্ষে বা বিপক্ষে কোন কিছু বলা কঠিন। যদি কাপ্টেন র্যামসেকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ রাখা হয় এবং শেষ পৰ্যন্ত কোন প্ৰতিকারই না পাওয়া যায়, তাহলে বলতেই হবে, মিস্টার কেনেডি (গ্রেটব্রিটেনের মার্কিন রাষ্ট্রদূত) ও অন্যান্যরা যা বলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে, যথা, ইংলণ্ডে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে, তার কিছুটা সত্য। এসব সত্ত্বেও হাউস অফ কমনস-এর এক কমিটি ক্যাপ্টেন রামসের ব্যাপারটা পরীক্ষা করে দেখছেন । ক্যাপ্টেন র্যামসে অস্তুত এ সুযোগ পেয়েছেন । সাধারণভাবে আমার মামলা সম্পর্কে আপাতত দুটি ব্যাপক প্রশ্ন বিবেচনা করা দরকার। } প্রথমত, নৈতিক বা জনমতের দিক থেকে ভারতরক্ষা নিয়মাবলীর কোন সমর্থন আছে কিনা ? দ্বিতীয়ত, নিয়মাবলী যা আছে আমার ক্ষেত্রে তা কি ঠিকমত প্ৰয়োগ করা হয়েছে ? এই দুটি প্রশ্নেরই উত্তর নেতিবাচক । "ভারতরক্ষা নিয়মাবলীর পিছনে কোন নৈতিক সমর্থন নেই, যেহেতু তা জনসাধারণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। তাছাড়া এইগুলি মূলত যুদ্ধকালীন ব্যবস্থা এবং একথা প্রঙ্যেকে জানে যে ভারতকে যুদ্ধরত শক্তি বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ভারতীয় আইনসভার বা ভারতীয় জনসাধারণের বিনা সম্মতিতে ভারতকে যুদ্ধে নামানে হয়েছে। উপরন্তু, যে ব্রিটেন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের আদর্শের জন্য লড়াই করছে বলে দাবি করে এই নিয়মাবলী সেই সোচ্চার দাবির পরিপন্থী। সর্বশেষে, কেন্দ্রীয় আইনসভায় ভারতরক্ষা আইন বা ভারতরক্ষা নিয়মাবলী যখন গৃহীত হয় কোনটিতেই কংগ্রেস পার্টি সমর্থন জানায়নি। এই অবস্থায় ভারতরক্ষা নিয়মবলীকে "ভারত দমন নিয়মাবলী’ অথবা “অবিচার রক্ষা নিয়মাবলী' বলা