পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার রাজনৈতিক প্ৰতীতি- Sevd হলে যথাৰ্থ বলা হয়। কিনা। যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তাহলে অন্যায় ॐgव मt I সরকারের তরফ থেকে বলা যেতে পারে, ভার ৩রক্ষা *{झेन যেহেতু কেন্দ্রীয় আইনসভার আইন, অতএব তার অধীনে যে নিয়মাবলী প্ৰণয়ন করা হয়েছে সমস্ত প্ৰাদেশিক সরকার তা মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু নিয়মাবলী যেভাবে রচিত আমার ক্ষেত্রে তা যে ঠিকমত প্রয়োগ করা হয়নি, এই অভিযোগের যৌক্তিকঙ প্ৰমাণ করতে এর আগে অনেক কথা বলা হয়েছে। সুস্পষ্টভাবে আইনের বিরুদ্ধতা ও অবিচার করা হয়েছে। আমার মতে এইরকম অদ্ভুত আচরণের কেবলমাত্র একটি ব্যাখ্যাই হতে পারে, যথা, সরকার খোলাখুলিভাবে আমার বিরুদ্ধে প্ৰতিহিংসামূলক নীতি চালিয়ে চলেছেন এবং এই নীতির ব্যাখ্যা কী তার কারণ জানা নেই । দু। মাসের উপর হল আমার কাছে এই প্রশ্ন বারে বারে দেখা দিচ্ছে যে এই সঙ্কটে আমার কী করা। কর্তব্য । আমি কি অবস্থার চাপে নতি স্বীকার করব এবং বরাতে যা আছে তাই মেনে নেব।-- অথবা যা আমার কাছে অসঙ্গীত অন্যায় ও আইনবিকদ্ধ তার বিবরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাবো ? অভ্যন্ত গভীরভাবে চিন্তার পর আমি এই সিদ্ধান্তে পৌছিয়েছি যে, এই অবস্থার কাছে আত্মসমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না । অন্যায় করা থেকে অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করা আরও জঘন্য অপরাধ। অতএব প্ৰতিবাদ আমাকে করতেই হবে । কিন্তু এতদিন ধরে প্রতিবাদ অনেক করেছি এবং প্রতিবাদ করার সাধারণ সব পদ্ধতিই গ্ৰহণ করা হয়ে গেছে। সংবাদপত্র ও সভা- . সমিতি মারফত আন্দোলন করা হয়েছে, সরকারের কাছে আবেদন পেশ করা হয়েছে, আইনসভায় দাবি জানানো হয়েছে, আইনের পথ ধরে প্রতিকারের সন্ধান করা হয়েছে—এত সুব চেষ্টা কি ইতিমধ্যে অকাৰ্যকর প্রমাণিত হয়নি ? কেবল একটিমাত্র উপায় বাকি আছেকারারুদ্ধ বন্দীর হাতে শেষ অস্ত্ৰ-তা অনশন ধর্মঘট বা প্ৰায়োপবেশন । যুক্তির নিরাবেগ দৃষ্টিতে আমি এই পন্থার খারাপ ভালো দুই