পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अभिज्ञ डीवनद्ध बांधी RGS তাদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে এবং তা উৎসারিত হয়েছে বিরামবিহীন এক কৰ্মজীবন থেকে-যে জীবন মাটির সঙ্গে তার যোগ কখনও হারায়নি । 确 বিশ্ব অভিব্যক্তির পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রয়োজন একটি নতুন দর্শন, নীতিগত এক নতুন ধারণা এবং অর্থনীতি ও রাজনীতির দিক থেকে নতুন এক ব্যবস্থা । এই বিষয়ে আমাদের কি দেবার আছে ? নব্য দৰ্শন-গত কয়েক দশকের মধ্যে মৌলিক বলা যেতে পারে এমন কোন দার্শনিক চিন্তায় ইংলণ্ডের উল্লেখযোগ্য কোন অবদান নেই । আমেরিকা দিয়েছে প্রয়োগবাদ ( Pragmatism ), ফ্রান্স দিয়েছে আঁরি বাৰ্গাির্স এবং জার্মানি হেগেল-কে । আধুনিক দর্শনের সারাতত্ত্ব হেগেলীয়, অর্থাৎ দ্বন্দ্ববাদ ( Dialectics ) কিন্তু বস্তুজগৎ সম্পর্কে হেগেলের ধারণাকে তা অগ্ৰাহ করেছে। যতদূর আমার জানা আছে নাৎসীবাদের মূলে কোন দার্শনিক তত্ত্ব নেই। গান্ধীবাদ ভ্ৰান্ত নীতিতত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং তার দর্শন অস্পষ্ট ও রহস্যাবৃত। আমরা যদি নতুন ভারত চাই আমাদের অবশ্য প্রয়োজন এক নব্য দর্শনের । দার্শনিক সমস্যার মধ্যে প্রধান দুটি সমস্যা এই (১) দেশকালাতীত অবস্থায় সদ্বস্তুর প্রকৃতি কী এবং (২) আমরা যে বস্তুজগৎকে জানি ( অর্থাৎ পরিদৃশ্যমান জগৎকে ) তারই বা কী প্ৰকৃতি এবং তা কীভাবে অভিব্যক্ত হয় । (নীতিতত্ত্ব, অর্থনীতি ও রাজনীতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে হলে অভিব্যক্তি সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারণা থাকা একান্ত দরকার ) ፵ বেদান্ত যখন বলে দেশকালাতীত বস্তুর অস্তিত্ব অজ্ঞাত ও জ্ঞানাতীত তখন তা ঠিকই বলে। কিন্তু পরম ব্ৰহ্মকে আমাদের মন ইন্দ্ৰিয়, ইত্যাদি মারফত যে আমরা ধরবার চেষ্টা করব না। তার কোন কারণ নেই। আসলে কিন্তু এই চেষ্টাই অনাদিকাল থেকে হয়ে আসছে, এবং তারই ফলে উদ্ভব হয়েছে বিভিন্ন দার্শনিক মতবাদের যারা নিজেদের মধ্যে প্রায়শই দ্বন্দ্বরত । ( পরমব্রহ্মের) কোন একটি