পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবনের বাণী SV\ করেছিল সাংখ্যদর্শন। সেই দর্শনের অন্তর্ভুক্ত অভিব্যক্তির ধারণা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক যদিও আজকের দিনে অনেকের কাছে তা অসংস্কৃত বলে মনে হতে পারে। প্ৰাচোর মনীষীরা ছাড়াও প্রাচীন গ্রীসের দার্শনিকরাও এই প্রশ্ন সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এবং যুগ যুগ ধরে এই প্ৰয়াস চলে আসছে। জগতের স্বৰূপ কী ? তা কি জড়বস্তু, না। শক্তি, না মন ? জড়বস্তুই বা কী ? তা কি একগুচ্চ সংবেদন ? অথবা পুঞ্জীভূত পরমাণু ? কিংবাশক্তির আচলরাপ ? বিশ্লেষণের পর জড়বস্তুর জড়ত্ব কি টিকে থাকে, না। শক্তি বা বলে বিলীন হয়ে যায় ? পরমাণু কি জড়বস্তুর কণিকা, না। শক্তির কেন্দ্ৰ ? এই প্রশ্নগুলি চিত্তাকর্ষক এবং তার উপর নিত্য আলোকপাত করে চলেছে বিজ্ঞানের গবেষণা। হয়ত এ বিষয়ে আমরা আজ যা জানি তার চেয়ে অনেক বেশি জানবে আমাদের পরে যারা আসবে তারা। তবে পরিদৃশ্যমান জগতের স্বরূপ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরের তত বেশি তাত্ত্বিক মূল্য নেই যেহেতু তার সত্যতা শুধু আপেক্ষিকই থাকবে এবং পরমতত্ত্ব তখনও অজ্ঞাত ও জ্ঞানাতীত থেকে যাবে। তৎসত্ত্বেও তার কিছুটা বাস্তব মূল্য থাকবেই। বাস্তব দিক থেকে অভিব্যক্তি প্ৰক্ৰিয়ার স্বরূপ সম্পর্কে আমাদের ধারণার মূলা কিন্তু আরও বেশি। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত অভিব্যক্তি সম্পর্কে কয়েকটি মত আমরা দেখতে পাই সাংখ্য মত, স্পেন্সারীয় মত, হেগেলীয় মত, দার্গসনীয় মত ইত্যাদি । এই ক্ষেত্রেও প্রতিটি মতে কিছু সত্য নিহিত আছে। যদিও আমার ধারণায় আর সবের চেয়ে হেগেলীয় দাঁতই সত্যের সমীপবতী । হেগেলের মতে অভিব্যক্তি প্রক্রিয়ার প্রকৃতি দ্বন্দুসমন্বয়ী ( তত্ত্ব, বিপরীত তত্ত্ব, তত্ত্বসমন্বয় ) এবং ভাব ও বস্তু দুয়ের মধ্য দিয়েই এক দ্বন্দ্ৰসমন্বয়ী প্ৰক্ৰিয়া অনুসৃত । এখন, আমরা যা দেখছি নিঃসন্দেহে তার অধিকাংশের ব্যাখ্যা ও কারণ দ্বন্দ্ববাদে পাওঁয়া যায়। কিন্তু সবার নয়। প্রকৃতপক্ষে অভিব্যক্তি প্রক্রিয়া ততখানি বৈচিত্র্যহীন ও একাবিধ নয়। যতখানি দ্বন্দ্ৰবাদ থেকে আমাদের মনে হয় । যে সব প্রকৃত