পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vibro কোন পথে ? V জন্য উদগ্রীব এবং যা কিছু মতবিভেদ ও সমস্যা রয়েছে তার সম্মানজনক মীমাংস মেনে নিতে সম্পূর্ণ প্ৰস্তুত, তা আমি না। বললেও পারি । কিন্তু কোন কোন কংগ্রেস নেতা যে মনোভাব গ্ৰহণ করেছেন, আমরা তা মেনে নিতে পারি না । যেমন, বামপক্ষের বন্ধু ও সহকর্মস্থানীয় কারও কাছে সম্মানজনক আপসের কোন প্ৰস্তাব করা যেতে পারে। ना । অতএব, জনসাধারণের চোখে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করার বা আমাদের অপমান বা কলঙ্কিত করার যদি কোন প্রকার চেষ্টা হয়, তাহলে অনিচ্ছাসত্ত্বেও আমরা সে প্রকার আক্রমণকে শুধু প্ৰতিহতই করব না ; যে ক্ষেত্রে সম্ভব আমরা পাল্টা আক্রমণ করতে বাধ্য হব। বৃহত্তর নানা সমস্যা নিয়ে আমরা ব্যাপৃত আছি বলে মৌলানা এবং তঁর বন্ধুরা যেন না ভাবেন, আমরা আমাদের ‘ঘরোয়া ফ্রন্টে' দক্ষিণপন্থীদের আক্রমণ অগ্ৰাহ্যু করব । ১৯৩৯-এর জুলাই থেকে বঙ্গীয় প্রদেশিক কংগ্রেস কমিটির উপর যে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, শ্ৰীশরৎচন্দ্ৰ বসুকে আক্রমণ তারই আরেক পৰ্যায় মাত্র । অতএব এ ব্যাপারে বি. পি. সি. সি. অপরিহার্যভাবে লিপ্ত না হয়ে পারে না । বঙ্গীয় কংগ্রেস সংসদীয় পার্টির মধ্যে মৌলানা যখন জোর করে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন, তখন বি.পি.সি.সি.-র জানা দরকার কারা তাদের পক্ষে, কারা বিপক্ষে । ওই পাটিতে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হই বা না হই, কিছু আসে যায় না। সংখ্যায় বেশিই হোক, কমই হোক, বাংলার আইনসভায় আমাদের বন্ধু ও সমর্থকরা কংগ্রেস সংসদীয় পার্টির নামেই কাজ চালিয়ে যাবেন । আইনসভায় অ্যাডহক কমিটি’ থেকে র্যারা সদস্য আছেন তঁরা কংগ্রেস সংসদীয় পার্টি বলে দাবি করতে পারেন না, যেহেতু তঁরা একমাত্র বৈধ বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির আনুগত্য স্বীকার করেন না । এ কথা না বললেও চলে যে, র্যারা এখন বি. পি. সি. সি.-র পক্ষে ১। কংগ্রেস হাই কমাণ্ডেব নীতির বিকদ্ধে নির্বাচিত কংগ্রেস কমিটি অধিকাংশ সদস্য বিদ্রোহ করার পর, হাই কমাণ্ড বাংলায় একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করেন ।