পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা কংগ্রেসের জট $\పి. নেই, তঁরা পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় মনোনীত হবার অধিকার হারাবেন । বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে মৌলানার নামে কত ভোট পড়বে এবং বি. পি. সি. সি.-র নামেই বা কত পড়বে তু আন্দাজ করতে বেশি বুদ্ধির দরকার হয় না। এবং এখানে এখনই আমি বলে রাখছি, • কংগ্রেস হাই কমাণ্ড তঁাদের বর্তমান নীতিতে যদি অটল থাকেন তাহলে পরবতী সাধারণ নির্বাচনের সময় শুধু বাংলাতেই নয়, সারা ভারতে একই সঙ্গে আরেকটা নির্বাচন হবে । গতবারে বামপন্থীদের কঁধে চেপে দক্ষিণপন্থীরা যেমন করে গদি দখল করেছিল, সে সুযোগ আর তারা পাবে না। সাধারণের স্বাৰ্থ সংশ্লিষ্ট যে-কোন প্রশ্ন সম্পর্কে চূড়ান্ত রায় দেবার অধিকার জনসাধারণের । বাংলার বর্তমান সংসদীয় জট থেকে যাতে উদ্ধার পাওয়া যায়। সে বিষয়ে আমি একটা প্ৰস্তাব করতে চাই । মৌলানা আবুল কালাম আজাদ শ্ৰীশরৎচন্দ্ৰ বসুকে নিন্দাবাদ করেছেন এবং তঁকে বহিষ্কার করতে চাইছেন । আর সবার তার উপর পুরোপুরি আস্থা আছে। কিন্তু বাংলার জনসাধারণ কী বলে ? তাহলে, এই প্রশ্নে আইনসভার সব কংগ্রেস সদস্য পদত্যাগ করে পুননির্বাচন প্রার্থী হোন। চুনোপুটিদের সঙ্গে লড়াই করে লাভ নেই। মহাত্মা গান্ধী র্তার আশীৰ্বাদ ও সমর্থন দিয়ে ওয়াকিং কমিটির সদস্যদের নিজেই দাড় করান। তঁদের বিরুদ্ধে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির তরফ থেকে আমরাও প্রার্থী দাড় করাই। তারপর, সম্পূর্ণ আস্থার সঙ্গে এবং পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হয়ে আমরা নির্বাচকমণ্ডলীর রায়ের প্রতীক্ষা করব । মহাত্মা কি রাজী হবেন ? 海 旗 游戏 পার্টির আদেশ কার্যকর করতে মৌলানা পার্টি (সংসদীয়) নেতাৰুে পার্টি থেকে এবং আইনসভা থেকে বিতাড়ন করতে চাইছেন। চরম গোপনতায় সংসদীয় পার্টিকে বিন্দুমাত্র না জানিয়ে মৌলানার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং তা গৃহীত হয়েছে ঘটনা ঘটে যাবার প্রায় ছ'মাস পারে ।