পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳՀ কোন পথে ? উদ্ভব হয়নি। অতএব যে নীতিতে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি চালিত হবে, সেই নীতিতেই প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটিরও চালিত হওয়া উচিত । তাছাড়া, একজন ডিক্টেটার অথবা কোন এক চক্রের কর্তৃত্ব বরদাস্ত করা চলে যদি তাদের কারও নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলে তেমন প্ৰতিষ্ঠা বা আনুগত্য থাকে। বাংলাদেশ সম্পর্কে আসল অবস্থা কী তা মৌলানার, এমন কি মহাত্মা গান্ধীরও না জানার কথা নয়। শেষ পৰ্যন্ত, কংগ্ৰেসকে যেরূপ জাতীয় সংগঠন বলে আমরা দাবি করি। যদি তা সত্যি তাই হয়, সেই দাবির যৌক্তিকতা নির্ভর করবে: জনসাধারণের কতটা আস্থা তা অর্জন করতে পেরেছে তার উপর । বাংলায় যেহেতু অ্যাডহক কমিটি জনসাধারণের আস্থাভাজন নয়, বালীগঞ্জ। সারকুলার রোড অথবা ওয়ার্ধ থেকে যত ফরমানই আসুক কিছুতেই তাতে প্ৰাণসঞ্চার করে তাকে প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটিতে পরিণত করা যাবে না । অপরপক্ষে, ঐ দুই জায়গা থেকে কোন ফতোয়াই বৈধ বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটিকে খতম করতে পারবে না। এই কারণেই তথাকথিত অধিকারচু্যত হবার পরও বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটির অধীনে থেকেই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও যাব । এই থেকে বোঝা যাচ্ছে, বাংলার আইনসভার যে সব সদস্য বৈধ প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটিকে মানেন, কেবলমাত্র তঁরাই বঙ্গীয় কংগ্রেস ংসদীয় পার্টির নামে কাজ করবার অধিকারী। যদি অ্যাডহক কমিটি চায়, তঁরাও আইনসভায় অ্যাডহক পাটি গঠন করতে পারেন কিন্তু ঊর্তারা কংগ্রেস সংসদীয় পার্টির নাম আত্মসাৎ করতে পারবেন না । শৃঙ্খলারক্ষার যুক্তির সঙ্গে অনুরূপ আরেক যুক্তি প্রায়ই দেখানো হয়ে থাকে। সাধারণ নির্বাচনের সময় আইনসভার সদস্যরা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তঁদের তা মেনে চলা উচিত । এই যুক্তি এতই খেলো যে এ সম্পর্কে কিছু বলা নিম্প্রয়োজন । সেই অঙ্গীকার গ্রহণের পর থেকে সময়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা,