পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লর্ড লিনলিথগোকে লেখা দুইটি চিঠি &b”的 সরকার তঁদের দুৰ্বোধ্য নীতির দয়ায়, একটা আইন অমান্য আন্দোলন যেচে ডেকে আনছেন। একজন স্বাধীনতাকামী মানুষ স্থানীয় সরকারকে টলাতে সর্বপ্রকারে যখন বার্থ হয়েছে তখন তার পক্ষে এই রকম অবস্থায় কী করা উচিত কিংবা সে কী করতে পারে, আপনাকে যদি এই প্রশ্ন করি আপনিই কী বুলবেন ? ৬ । আমাদের সরকার সংবাদপত্রগুলিকেও রেহাই দেয়নি । প্রথমত, অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় এখানকার দৈনিকগুলিকে অনেক বেশি কঠিনভাবে সেন্সর করা হয়। বিভিন্ন প্রদেশের সংবাদপত্র তুলনা করে দেখলেই এই কথার সত্যতা যাচাই হবে । কিন্তু এর থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ, তুচ্ছ তম অজুহাতে সরকার কর্তৃক কোন কোন সংবাদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা । হলওয়েল মনুমেণ্ট সত্যাগ্রহের সময় বাংলা সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে সেই আন্দোলন সম্পকিত যাবতীয় সংবাদ প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন । গান্ধীবাদী সভা গ্রহের সংবাদ প্ৰকাশ সম্পর্কে ভারত সরকারের বর্তমান যে নীতি তার সঙ্গে কী আকাশপাতাল পাথােক। । ৭ । প্রায় এক মাস আগে, বাংলার বিভিন্ন জেলে কিছু রাজনৈতিক বন্দী যখন অনশন ধর্মঘট আরম্ভ করেন, বাংলা সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে অনশন ধর্মঘট সম্পকিত যাবতীয় সংবাদ, নোটিশ ইত্যাদির প্রকাশ নিষিদ্ধ করে দেন । আমার বিশ বৎসরের অভিজ্ঞতায় অনুরূপ কোন ঘটনার কথা আমার জানা নেই। এই ঘটনার সবচেযে দুঃখজনক দিক এই যে, ব্যাপারটি ঘটেছে “জনপ্ৰিয়” এক মগ্ৰিমণ্ডলীর সামনে । এই প্রদেশের জনসাধারণ এই প্রকার “জনপ্ৰিয়” মন্ত্রিমণ্ডলী সম্পর্কে যদি উৎসাহিত বোধ না করে তাহলে অবাক হবার কিছু নেহ । ৮ । নিজেদের সুবিধা মাফিক যখন বোঝেন বাংলা সরকার তখন কর্মনীতির সামোর কথা বড়াই করেন । কিন্তু যখন দেথা যায় কর্মনীতিতে অন্যান্য জায়গা এই প্রদেশ থেকে এগিয়ে যাচেষ্ট, তখন সুবিধামত আগের যুক্তির কথা তারা ভুলে যান।