পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sistro কোন পথে ? বা আইন শাসকরা রচনা করে তাদের নিজেদের স্বার্থে ও প্রয়োজনে । ব্রিটিশের চোখে যে সংগঠন অ-নিয়মতান্ত্রিক বা অবৈধ কেবলমাত্র এইরূপ সংগঠনই দেশকে স্বাধীনতায় দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে । আইন অমান্য আন্দোলনের সময় কংগ্রেস অ-নিয়মতান্ত্রিক সংস্থায় পরিণত হয়েছিল, এবং সেই কারণেই তা প্রচুর কাজ করতে পেরেছিল । কিন্তু বর্তমানে তা আবার আগেকার নির্দোষ সংস্থায় ফিরে গিয়েছে । বলতে গেলে কংগ্রেস ও অন্যান্য মডারেট দলগুলির মধ্যে কাৰ্যত কোনই পার্থক্য নেই। আমি বুঝে উঠতে পারি না, স্যার সুরেন্দ্ৰনাথ ব্যানজি সরকারী পদ গ্ৰহণ করেছিলেন বলে কংগ্রেসীরা আগে কেন সমালোচনা করেছিল । স্যার সুরেন্দ্রনাথ এবং অন্যান্য মডারেটর আগেকার তথাকথিত রিফর্মের সময় যা করেছিলেন কংগ্রেসীরা এখন হুবহু তাই করে চলেছে। বরঞ্চ সেই সময়কার মডারেটর। সব রাজনৈতিক বন্দীদের অপরাধ মকুব করার জন্য যে দাবি জানিয়েছিল তার জন্য তারা শ্ৰদ্ধার পাত্ৰ । এখন কেবল নির্দিষ্টসংখ্যক রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্ত দেওয়া হয়েছে কিন্তু তখন সব রাজনৈতিক বন্দীদের অপরাধ মকুব করে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল । এই সময়ে দেশকে সঠিকভাবে চালিত করার জন্য কংগ্ৰেসেশ্ব যা দরকার তা হচ্ছে বৈপ্লবিক মনোবৃত্তি । এখন এটি বিপর্তনশীল সংস্থা । এটিকে অবশ্যই একটি বিপ্লবী সংস্থায় পরিণত করতে হবে । সারা দেহ যখন ‘বিষাক্ত হয়ে গেছে তখন কয়েকটি অংশে ওষুধের প্রলেপ দিয়ে কোন ठूला छ 6ब्भन्नै ! অ৩িংসাের ভুতকে ঝেড়ে ফেলতে হবে এবং মূলনীতি পালটাতে তবে । “সম্ভবপর যে কোন উপায়ে” আমাদের লক্ষ্যে পৌছতে হবে, অহিংস হোক, হিংসাত্মক হোক । অহিংস পরিবেশ ভারতীয়দের নিছক মেয়েলী পুরুষ করে তুলছে। বর্তমান জগতে কোন জাতি যাদ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে দুনিয়ায় টিকে থাকতে চায় তাহলে তার অহিংসার কথা চিন্তা করা উচিত হবে না । এত দীর্ঘকাল ধরে আমাদের কানৈ “পারলৌকিকতা”র মন্ত্র দেওয়ার ফলে আমাদের যত