পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

列筒ft沙 VeS আমার মনে হয় আজ আমাদের মৌলিক কর্তবা এমন একটি কর্মপন্থা নির্ধারিত করা মূলত যাহা কংগ্রেস হইতে স্বতন্ত্র । কংগ্রেস যদি আইন অমান্য আন্দোলন শুক করে। তবুও এই কর্তব্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কিছুমাত্র হ্রাস পাইবে না। আইন অমান্য আন্দোলন যদি শুরু হয় তাহা হইলেও তাহার উদ্দেশ্য ঘুে সাম্রাজ্যবাদের নিকট হইতে সুবিধা আদায় করার বেশী কিছু থাকিবে না। ইহাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নাই । জওহরলাল যতই বলুন দিল্লী প্ৰস্তুবা মোটেই মৃত ও বিলপ্ত হয় নাই। যে মুহুর্তে ব্রিটিশ সরকার আপসের ইচ্ছা! প্রকাশ করিবে সঙ্গে সঙ্গে তাহাকে বাহির করা হইবে । অতএব, মাতাহ হোক না কেন আমাদের সম্মুখে যে সুনিশ্চিত পরিণতি দেখা যাই৩োছে ‘তাঁহা এক্ট, কংগ্রেস যে কোন মূল্যে সাম্রাজ্যবাদের সহিত ‘আপিস প্লফা করিপে-মূল্য বেশি হুইবে না। কম হইবে উভয়পক্ষের গায়জের উপর তাহা নির্ভর করিবে । এতদিন আমার! আমাদের এখনকার কাজের ভিত্তি হিসাবে ধরিয়া লইয়াছিলাম যে, রাজনীতিক্ষেত্রে কংগ্ৰেসই কাজ করার প্রধান চাতিয়ার-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একটি বহুশ্রেণিক ফ্ৰণ্ট ( তার এক প্রান্তে শ্রমিকরা, অপর প্রান্তে জাতীয় বুর্জোয়া) । অতঃপর সম্পূর্ণ বিপরীত সিদ্ধান্ত হই৩ে আমাদের কাজে অগ্রসর হইতে হইবে ; তাহা এই, রাজনীতিক্ষেত্রে কাজ করিবার প্রধান ভিত্ত্বি কংগ্রেস আর নাই । আমার বক্তব্য এই নয় যে, জনসাধারণের উপর কংগ্রেসের প্রভাব লোপ পাইয়াছে ( যদিও ইহার বিপরীত বর্তমানে যত সত্য গত কধ্যেক বৎসরের মধ্যে কখনই তেমন হয় নাই ; যথা : কংগ্রেসের উপর জনসাধারণের যতটুকু প্ৰভাব ছিল তাহ লোপ পাইয়াছে ), ‘অথবা তাহার সাম্রাজ্যবাদকে বিরোধিতা করার ভুমিকা শেষ তইয়াছে। বলিতে কি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এইরূপ বিরোধিতার সম্ভাব তা অত্যধিক । কিন্তু তাহার উদ্দেশ্য হইলৈ দিল্লী প্ৰস্তাবের দাবি অনুযায়ী কিছু অর্জন করা । এমন কোন সম্ভাবনাও নাই যাহাতে বর্তমান অবস্থায় আমাদের পক্ষে কংগ্রেসকে প্রভাবিত করা সম্ভব ।