পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बकून कर्धचब &位 'ফ্ৰেণ্ড’ একটি আশ্চৰ্য আবিষ্কার করে ফেলেছেন-আবিষ্কার না। বলে উদ্ভাবন বলা কি উচিত ?--তা। এই, যে মুহুর্তে যুদ্ধ বাধ্যবে, ভারতের বিদ্রোহীরা হের হিটলারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তার এবং রোম-টেকিও-বালিন চক্রের পিছনে সারি বেঁধে দাড়িয়ে পড়বে। ব্রিটিশ জনসাধারণের কল্পনার খ্যাতি বিশেষ একটা নেই, কিন্তু আমাদের ‘ফ্রেণ্ড’ স্পষ্টতই একটি ব্যতিক্রম-এবং ব্যতিক্রম থাকে বলেই নিয়ম প্রমাণিত হয়। র্তার ধারণা বাস্তবিকই চমকপ্ৰদ এবং তারিফ করার মত । যেহেতু বিদ্রোহী ভারতবাসীরা ইওরোপে যুদ্ধ বাধার সঙ্গে সঙ্গে "হাইল হিটলার’ বলে চিৎকার করতে শুরু করে দেবে, "ফ্রেণ্ড’ তাদের জন্যে মৃত্যুদণ্ড সুপারিশ করেছেন। মৃত্যুদণ্ড যদি না দিতে পারা যায় তাহলে তাদের জেলখানায় নিরাপদে কয়েদজাত করে রাখা উচিত হবে । তাহলে ইওরোপ এবং ভারত সব দিক থেকে রক্ষা পাবে। এইরকম একজন ‘ফ্রেণ্ড'-এর কাছে ভারত নিশ্চয় কৃতজ্ঞ থাকবে । যদিও ‘দি ফ্রেণ্ড অফ ইণ্ডিয়া’র এইসব তর্জনগর্জন আমাদের যথেষ্ট আমোদের খোরাক জুগিয়েছে, তা সত্ত্বেও আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে এ সবের গভীরে একটা দুরভিসন্ধি আছে। এই সংবাদপত্রটি প্রায়শই ভারত সরকারের মুখপাত্র ও সমর্থকের ভূমিকা গ্ৰহণ করে থাকে এবং তার ফলে গ্রেট ব্রিটেনের সরকারী মনোভাব কী তার কিছুটা আভাস আমরা পেয়ে থাকি । তাই ‘ফ্রেণ্ড' যা বলেছেন তা কেবলমাত্র একটা মজার ব্যাপার বলে হালকাভাবে উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না । সম্প্রতি এক প্ৰবন্ধে 'ফ্ৰেণ্ড’ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যুদ্ধ বাধার অর্থ ফেডারেশন স্থগিত রাখা বোঝাবে না । সংবাদপত্রটি অবশ্য যুক্তরাষ্ট্ৰীয় কাঠামোকে নিয়মিত সমর্থন জানিয়ে আসছে, কারণ তাই নাকি ভারতীয় সমস্যার সমাধান ঘটাৰে । ভারতীয় জনসাধারণ নিজেরা তাদের নিজস্ব সমস্যার এই সমাধান সম্পর্কে কী চিন্তা করে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে বিবেচিত হয়নি। যুদ্ধ