পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? কোন পথে 9ܛ বাধার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্ৰীয় কাঠামোকে আপনিই স্থগিত রাখা সঙ্গত হবে, কোন কোন সরকারী মহলে এই ধরনের প্রস্তাব করা হচ্ছে শুনে সম্ভবত আমাদের ‘ফ্রেণ্ড' দুঃখিত এবং ‘ফ্রেণ্ড'-এর কাছে ব্যাপারটা একটা দুর্ঘটনা থেকে কোন অংশে কম বলে মনে হচ্ছে না । অতএব জনসাধারণকে বোঝাবার অপ্ৰাণ চেষ্টা করে চলেছে যে, যুদ্ধ বরঞ্চ ফেডারেশনের পত্তন ত্বরান্বিত করবে। যে কোন লোক কিন্তু একটা কথা ভেবে অবাক হবে, সারা দেশ যখন বামপন্থীতে ছেয়ে গেছে তখন ফেডারেশন কি করে প্রবর্তন করা সম্ভব । এই বিপত্তি ‘ফ্রেণ্ড' আগেই তঁর প্রস্তাব মারফত সমাধান করে দিয়েছেন-দুষ্কৃতকারীদের মুখ বন্ধ করে দেবার পক্ষে মৃত্যুদণ্ড বা কারাবাসই যথেষ্ট এবং এই উপায়েই যুক্তরাষ্ট্ৰীয় কাঠামোকে সহজে আমদানী করার পথ প্ৰশস্ত হবে । যদি উল্লিখিত প্ৰস্তাব ব্রিটিশ সরকারের গ্রহণযোগ্য হয়, অথবা যদি তা সরকারী চিন্তার মাপকাঠি হয়, তাহলে যুদ্ধ বাধলে ব্রিটিশ সরকার সব বামপন্থীদের চালান দেবে। কথাটা ঘুরিয়ে বলা হচ্ছে না, তা বর্ণে বর্ণে সত্য হবে । দরিয়া যখন একেবারে সাফ হয়ে যাবে, ফেডারেশন তরুণী তখন তরতার করে তীরে এসে ভিড়বে এবং মন্ত্রীরা তাকে সংবর্ধনা জানাবে দামামা বাজিয়ে পতাকা উড়িয়ে-এ পতাকা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা নয়, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতাকা, যা শান্তি, গণতন্ত্র ও প্রগতির প্রতীক । কিন্তু এই পরিকল্পনায় মৌলিক নতুনত্ব কিছুই নেই। সেকেলে সেই দমন এবং আপস প্ৰণালীর আরেকটি দৃষ্টান্তমাত্র, শুধু এইটুকু তফাত যে এবারে যে প্ৰণালী গ্রহণ করা হবে তা আগেকার থেকে অনেক বেশী জবরদস্তি । 魏 এখন এই চিকিৎসা প্ৰণালী সম্বন্ধে আমাদের কী বক্তব্য থাকতে পারে ? এই বিষয়ে রোগীর নিশ্চয় বলার কিছু থাকবে । এই ক্ষেত্রে আমরা আমাদের ‘ফ্রেণ্ড’কে বলতেই পারি, অতীতে যখন এই অনবন্ধন্ত প্ৰণালী প্ৰতিবারই ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে, এবারে ভারতীয় জনগণের