পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সন্ধানে 象岛 করেছেন এবং পরবর্তী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্ৰমাণিত হয়েছে তারা ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। এখন, ধরাছোয়ার বাইরে এই সজ্ঞান বা প্ৰজ্ঞা কী ? এ কি রহস্যময় কিছু-এমন কিছু যা আমাদের বোধের অতীত-যা সহজাত ? কিছু পরিমাণে তা সহজাত ঠিকই। সাৰ্থক শিল্পী বা সঙ্গীতজ্ঞের এমন একটা সুকুমার স্পৰ্শবোধ এবং এমন সূক্ষ্ম অনুভূতি থাকে যা তার শিক্ষা বা চর্চা থেকে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায় না। যদি শুরু থেকেই তার মধ্যে সহজাত একটা শৈল্পিক প্রবণতা না থাকে। সে কখনই শিল্পনৈপুণ্যের শীর্ষে উঠতে পারে না। রাজনৈতিক সংগ্ৰামীর ক্ষেত্রেও একই কথা । প্ৰথম থেকেই তার মধ্যে একটা রাজনৈতিক বোধ থাকা চাই । কিন্তু চৰ্চা দ্বারা সজ্ঞানকে শানিত করা দরকার এবং সেই চর্চাও হওয়া দরকার নিরবচ্ছিন্ন। কিছু ক্ষেত্রে সজ্ঞান বা প্ৰজ্ঞা যদি নিভুল পথের নির্দেশ দিয়ে থাকে, তাই থেকে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই যে সর্বদাই তা নিভুল হবে। এখন, রাজনৈতিক সজ্ঞানকে যতটা সম্ভব নিভুল করে তুলতে কী সাহায্য করতে পারে ? প্রথমত, নিজের লক্ষ্যে চলার পথে পুরোপুরি নিঃস্বাৰ্থ হওয়া একান্ত দরকার । জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে স্বার্থচিন্তা যদি সজ্ঞানকে আচ্ছন্ন করে, তাহলে তা ঠিক পথে চালিত না করে বিপথচালিত করবে। যখন সজ্ঞানের উপর স্বার্থের প্রাধান্য ঘটে, আমাদের সর্বনাশ তখন আসন্ন । অতএব, কোন জাতির ভাগ্যকে চালিত করার সময় যতখানি সম্ভব নিঃস্বাৰ্থ হতে চেষ্টা করা উচিত । দ্বিতীয়ত, ব্যক্তিগত চেতনাকে সমষ্টির মধ্যে মিশিয়ে দেবার চেষ্টা করা উচিত-যাতে সমষ্টির মন আমাদের ব্যক্তিগত সজ্ঞান বা প্ৰজ্ঞার মধ্যে দিয়ে বাঙাময় হয়ে ওঠে । এটি সাধারণ লোকের পক্ষে সহজ নয় । সৌভাগ্যবশতঃ কিছু কিছু লোক তাদের ব্যক্তিসত্তাকে অপরের চেয়ে অনেক সহজে জনসাধারণের জীবনেৰ সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারে এবং সেই কারণে গণমানসকে অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারে। আমরা আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারি, সব কিছু একই