পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo কোন পথে ? যে দুৈল জনতার লোমত বোঝে সেই Gr চুরি বেশীঃক্ষমতা বেশী, বেশী । এই মন বোঝা কে g कूर्डि हिब्र नख्व नश्र, ক্লাতে হলেও সজ্ঞানের সাহায্য দি চর্গর দ্বারা মুর্কি এমনভাবে তৈশিল্পাঞ্জস্য নিয়মনিষ্ঠ করে গণমানসের সঙ্গে যোগ কেরখে চলতে পারে । তবে চেষ্টা করা ও সতর্ক থাকা দরকার । কল্পনা করুন পাহাড়ের ভেদ করে দুরন্ত জলস্রোত তোড়ে নেমে আছে। যে জলবিখণ্ডলি ওই জলপ্রপাতের অংশ তারা কি তাদের সুবৃত্তা মিশিয়ে দিয়ে সমগ্ৰ জলস্রোতের সঙ্গে এক হয়ে যেতে পারে না ? বাৰ্গসঁর প্রাণবন্যার কথা কল্পনা করুন । মানবাত্মাও কি বস্তুজগতের গহনে প্ৰবেশ করে তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহের সঙ্গে নিজেকে এক করে দেখতে পারে না ? হেগেলের পরমতত্ত্বের কথা কল্পনা কর্কন, যা বিশ্ব প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে চলেছে। ব্যক্তি কি ক্ৰমাভিব্যক্তি সেই বিকাশধারায় নিজেকে মিশিয়ে দিয়ে তা অৰধাকৃষ্ঠা করতে পারে না ? সেই দিব্য শক্তির কথা কল্পনা করুন যা বহুবিচিত্র এই সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে প্রকট । মানবাত্মা কি চিন্তায় বা অনুভবে তার সঙ্গে অভেদ হয়ে যেতে পারে না ? a সংক্ষেপে গণমানসের সুরে ব্যক্তিমানসকে বাধা সম্ভব। কিন্তু এই সজ্ঞান বা প্ৰজ্ঞাজনিত অনুভূতি ঠিক পথে নাও যেতে পারে এবং আমরা যদি মানুষ ও বিশ্বের ক্রমবিকাশ সম্পর্কে যুক্তিসিদ্ধ ধারণা দিয়ে নিজেদের মনকে সুরক্ষিত করতে না পারি, তা আমাদের রহস্যবাদের অন্ধগলিতে নিয়ে গিয়ে ফেলতে পারে। অতএব তৃতীয়ত আমাদের দরকার ব্যাপকভাবে ইতিহাস অধ্যয়ন এবং তার বিশ্লেষণ ও বিচারের উপর ভিত্তি করে যুক্তিবাদী ধারণা। যুক্তি যেখানে ব্যর্থ হয়, সজ্ঞান সেখানে আমাদের পরিচালনা করতে পারে। যেখানে সজ্ঞান রহস্যের ধোয়া সৃষ্টি করে আমাদের বিপথচালিত করে, সেখানে যুক্তি আমাদের ঠিক পথে নিয়ে আসতে পারে।