পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अभिब्रि (geoब्रिखकभ Ver প্রদেশে যাত্ৰা করি । এখানে আমি আগে কখনও আসিনি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ডাকে পাঠান ভাইরা কিভাবে সাড়া দেবে সে সম্পর্কে আমার কোনই ধারণা ছিল না । সীমান্ত অঞ্চলের লোকদের উপর খান-ভ্রাতাদের আশ্চৰ্য প্ৰভাবের কথা এত বেশী শোনা যে এই অবস্থায় অনিশ্চিত মনোভাব থাকা স্বাভাবিক । লাহোরেই আমি খবর পেয়েছিলাম, খান আবদুল গফুর খানের তরফ থেকে ইতিমধ্যে সর্বত্র 'জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আমার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনই সম্পর্ক নেই । কিন্তু তা সত্ত্বেও আমার ভাগ্যে সাদর অভ্যর্থনা জুটেছিল দেখে আমি আশ্বস্ত হই। সীমান্ত প্রদেশে প্ৰবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে আমার যা কিছু সন্দেহ সব দূর হয়ে গেল। পথের ধারের স্টেশনগুলিতে বিরাট জনতার সমাবেশ এবং তাদের মধ্যে বিশেষ করে নজরে পড়ে লালকোর্তা বাহিনী ( বা খুদাই খিদমৎগার ) । আমরা যত পেশাওয়ারের নিকটবতী হতে লাগলাম জনতা তত বিপুলকার ধারণ করতে লাগল এবং পেশাওয়ারে পৌছিয়ে দেখি একেবারে রাজকীয় সংবর্ধনার ব্যবস্থা । পেশাওয়ারে আমি পুরো একদিনও ছিলাম। কিনা সন্দেহ। কিন্তু স্বাধীনতা প্ৰিয় পাঠান যে মনেপ্ৰাণে ফরওয়ার্ড ব্লক অনুগামী না হয়ে পারে না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ঐ সময়ই ছিল যথেষ্ট । পেশাওয়ার শহরে এবং ক্যান্টনমেণ্টে বিরাট সাফল্যের সঙ্গে জনসভা হয়। ক্যান্টনমেন্ট কর্তৃপক্ষ প্ৰথমে আমাদের জনসভা নিষিদ্ধ করে দেয়, যদিও সেখানে বক্তৃতা দিতে মহাত্মা গান্ধী ও পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল--কিন্তু আমরা যখন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার সংকল্প করি, কর্তৃপক্ষ পিছু হটে গিয়ে আদেশ প্ৰত্যাহার করে । কংগ্ৰেসকমী ও সমর্থকদের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয় তা খুবই কাজের হয়েছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফরওয়ার্ড ব্লক প্ৰতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই । ফরওয়ার্ড ব্লক লাভৱান হয়েছিল নওশেরার মিয়া আকবর শাহু-সাহেবের মত একজন দুর্ধর্ষ কর্মী ও সংগঠককে পেয়ে । স্বল্পকালের জন্যে সীমান্ত প্রদেশ ঘুরে আসার পরে একথা স্পষ্ট