পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9ኳም কোন পথে ? সভাগুলি ১৯৩০-এর গৌরবমণ্ডিত দিনগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে । আমরা যে বোম্বাইয়ের জনসাধারণের চিত্ত জয় করেছি তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল না। কাওয়াসজী জাহাঙ্গীয় হলে যখন ফরওয়ার্ড ব্লকের সারা ভারত কনফারেন্স চলছিল আগ্রহী ও উৎসাহী শ্রোতার ভীড়ে তিলধারণের জায়গা ছিল না । এমনকি রাস্তায় লাউডস্পীকার লাগাতে হয়েছিল যাতে যে বিরাট জনতা ভিতরে প্ৰবেশ করতে পারেনি, তারা শুনতে পায় । সমস্ত প্রদেশের ডেলিগেটরা কনফারেন্সে যোগ দেন, এবং তঁদের সহায়তায় ও সহযোগিতায় ব্লকের গঠনতন্ত্র ও কাৰ্যক্রম প্ৰণয়ন করা হয় । যতদিন তা না হয়েছে। ব্লক ছিল সবার আক্রমণের লক্ষ্য। দক্ষিণপন্থীরা একে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বলে নস্যাৎ করেছে। বাইরে থেকে না। হলেও, ভিতরে ভিতরে আসলে এটা একটা গান্ধীবাদী পাটি, এই বলে কিছু কিছু বামপন্থী (অথবা ভুয়ো-বামপন্থী) কুৎসা রটনা করেছে। একটা কল্পিত কারণে ব্লকের নামে বরাবর অপবাদ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা এই যে, ব্লকের কোন সুনির্দিষ্ট নীতি ও কাৰ্যক্রম নেই, যত সুবিধাবাদী ও নানারকমের হতোদম ব্যক্তিদের এটা ঘাটি হয়েছে । ফরোয়ার্ড ব্লকের গঠনতন্ত্র ও কাৰ্যক্রম গৃহীত হবার পর যখন তা সংবাদপত্রে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হল--এই ধরনের মিথ্যা প্রচারবিশেষত সেই অংশ যা সরল বিশ্বাসে করা হয়েছিল-আপনিই বন্ধ হয়ে গেল । প্রধান যে সমস্যা নিয়ে বোম্বাইয়ে আমাদের ব্যাপৃত থাকতে হয়েছিল তা নবগঠিত ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে বর্তমান বামপন্থী পার্টি ও গোষ্ঠীগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক। আমরা স্বভাবত চেয়েছিলাম সর্বসম্মত নূনতম একটি কার্যক্রম অনুসরণ করার উদ্দেশ্যে একটি সংগঠনের মধ্যে সব বামপন্থীরা তাদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বিলুপ্ত করবে , বর্তমানে যে সব বামপন্থী পার্টি বা গোষ্ঠী আছে তাদের কোনটিকেই ভেঙে দেবার দরকার নেই এবং তারা অতিরিক্ত যে কোন কাৰ্যক্রমকে রূপ দেবার জন্যে কাজ কয়ে যেতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত তা সম্ভব হল