পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अभिब्रि (sioब्रिकियों 8S আমার কর্ণাটকের কর্মতালিকায় কোন ফাঁক ছিল না। বিজাপুর জেলা বাদ দিয়ে প্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল আমি পরিভ্রমণ করি কিছুটা ট্রেনে এবং কিছুটা মোটরগাড়িতে। যেহেতু এই প্রদেশে আমি নবাগত, সেখানে র্যারা আমাদের সহকমী ছিলেন। তঁদের অনেকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা দাবি করার মত ছিল না । তা সত্ত্বেও তঁদের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত অমায়িক এবং তঁদের উৎসাহের অন্ত ছিল না। সত্যি কথা বলতে কি, ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে যে পরিমাণ জনসমর্থন আমি সেখানে পেয়েছি তা আমার কাছে সুখকর এক বিস্ময়। বহিরাগত অনেকের মত আমারও ধারণা হয়েছিল, যেহেতু শ্ৰীযুক্ত গঙ্গাধর রাও দেশপাণ্ডে কর্ণাটক কংগ্রেসের অগ্রগণ্য নেতা, সেইজন্য সেখানে ব্লক বোধহয় তেমন সুবিধা করতে পারবে না। কিন্তু অন্যান্য প্রদেশের মত, সেখানকার অবস্থাও এমন বদলে গেল যে চেনা ভার। গণজাগরণে অগ্ৰগতির দরুন আমাদের আন্দোলনে নতুন নতুন শক্তি ও ব্যক্তির সমাবেশ হয়েছিল । তাছাড়াও, গত কয়েক বছরের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আরও কিছু সংগঠন গড়ে উঠেছিল। যারা সময়ের তালে পা ফেলে চলতে পারেনি, কংগ্রেসের পরিবর্তনশীল গঠনের সঙ্গে যারা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি এবং অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে পারেনি, তারা ধীরে ধীরে আরও প্ৰগতিশীল ও সক্রিয় ব্যক্তিত্বের আড়ালে অপসৃত হচ্ছিল । আমার কাছে মনে হয়েছিল--আশাকরি পরিস্থিতি বুঝতে আমি ভুল করছি না-জি. আর. দেশপাণ্ডের মত প্ৰবীণ নেতারা অতীতে যতই স্বাৰ্থত্যাগ ও সেবা করে থাকুন, উঠতিযুগের তরুণদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছেন এবং তাদের সঙ্গে তাল রেখে চলতে পারছেন না, অথচ এই তরুণরাই কিন্তু ভারতের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই ভুলে যাই যে, রাজনীতি এমন কিছু যা গতিশীল এবং যার নিত্য পরিবর্তন ঘটছে। কিছু না করে, অতীতে যে স্বাৰ্থত্যাগ ও সেবা করেছ তারই উপর ভরসা করে যদি বসে থাক এবং আবদার করা সম্বাই সব সময়ে