পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8 কোন পথে ? জাতীয় সংগ্রামের নেতৃত্বের আশা করা দুরাশী । অতএব দক্ষিণপন্থীদের কাছে আত্মসমর্পণের অর্থ দাড়ায় নিয়মতান্ত্রিকতার কাছে আত্মসমৰ্পণ এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপিস করা । মহাত্মার কাছে আমার শেষ আরজি এই ছিল যে, তিনি যদি সংগ্ৰাম সমর্থন করেন, আমরা নিজেদের সব বিভেদ মিটিয়ে ফেলে তঁর অনুগামী হব। তঁর জবাব আমাদের নিরাশ করে এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের পত্তন অনিবাৰ্য হয় । ফরওয়ার্ড ব্লকের তিন দফা কর্তব্য ছিল : (১) বামপন্থী-সংহতি (২) কংগ্রেসের মধ্যে যথার্থ ফলপ্ৰসু একতা প্ৰতিষ্ঠা এবং (৩) কংগ্রেসের নামে পুনরায় জাতীয় সংগ্রামের সূত্রপাত। দেশের সর্বত্র জনসাধারণের কাছে আমরা এই তিন দফা কর্মসূচী প্রচার করি । কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে বিভেদ আনার ও ভাঙন ধরাবার অভিযোগ আনা হয়। আসলে সত্যকার বিভেদকারী ছিল দক্ষিণপন্থীরা-যারা বামপন্থীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে এবং তার ফলে দক্ষিণপন্থীদের থেকে পৃথক হয়ে বামপন্থীরা বামপন্থী-সংহতি গড়ে তোলার প্রয়াস করতে বাধা হয় । স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণপন্থী-সংহতির বিপরীত তত্ত্ব বামপন্থী সংহতি। গত দুবছর ধরে দক্ষিণপন্থী সংহতি জোট বাঁধছে। দক্ষিণপন্থীদের জোট বাধায় কোন আপত্তি হয়নি এবং গান্ধী সেবা সজঘকে যখন রাজনৈতিক একটা দলে পরিণত করা হল, কেউ একটা কথাও বলেনি । কিন্তু যখন ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করা হল এবং বামপন্থী সংহতি গড়ে তোলার চেষ্টা করা হল, তখন বিভেদ ঘটানোর ভাঙন ধরানোর রব তোলা হল । ফরওয়ার্ড ব্লকের মতে কংগ্রেসের বর্তমান কাৰ্যক্রমের মধ্যে যতটুকু জাতীয় আদর্শের দিক থেকে হিতকর, সক্রিয় মনোভাব নিয়ে তাকে কাৰ্যকর করে তুলতে হবে। তাছাড়া, দেশকে সমস্ত সম্ভাব্য অবস্থার জন্যে তৈরি করার জন্যে পরিপূরক একটি কাৰ্যক্রম দরকার। এবং উভয়প্রকার কার্যক্রম অনুযায়ী কাজ করার জন্যে নিয়মতান্ত্রিক