পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাইকমাণ্ড কোন পথে ? সেপ্টেম্বর মাসের গোড়া থেকে সাধারণ মানুষদের মধ্যে যারা কংগ্রেসের কাছে পথের দিশা ও আলো প্ৰত্যাশা করে থাকে তারা মানসিক বিভ্ৰান্তি ও বিহবলতার মধ্যে দিয়ে সময় কাটাচ্ছে । যুদ্ধের উপরে হরিপুরা কংগ্রেসের প্রস্তাবকে আগে অভ্রান্ত পথনির্দেশ বলে গণা করা হত এবং স্বভাবত সবাই আশা করেছিল, সঙ্কট দেখা দেবার সঙ্গে সঙ্গে অবিলম্বে প্ৰস্তাবটি কার্যকর করার ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে । কিন্তু তা হয়নি । প্ৰথমে দেরি হয়েছে। পরে দক্ষিণপন্থী মহলে অস্পষ্ট কানাম্বুষা চলতে লাগল যে, পরিবর্তিত অবস্থায় ঐ প্রস্তাব অচল হয়ে গেছে । ফলে দেখা দিয়েছে দ্বিধা সংশয় এবং অধিকতর নিস্ক্রিয়তা । বিস্ময় ও বিভ্রান্তির জায়গায় দেখা দিল চরম হতবুদ্ধিতা । কংগ্রেসের কাছ থেকে পথচলার নির্দেশ নিতে যারা অভ্যস্ত তাদের মানসিক অবস্থা সহজেই কল্পনা করা যায় । তারা কী করবে ? যে হরিপুরা প্ৰস্তাব প্রত্যক্ষ পথনির্দেশরূপে কাজ করতে পারত বিনাভিনিতায় সেটিকে ধামা চাপা দেওয়া হল এবং তার জায়গায় আর কিছু দেওয়াও হল না । একথা ঠিক, সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বাগাড়ম্বরে ঠাসা এক প্ৰস্তাব প্রসব করেছে যাকে আমাদের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের (?) মধ্যে কেউ কেউ “সারা দুনিয়ার কাছে একটি দৃষ্টান্ত” অথবা “পরাধীন জাতিসমূহের স্বাধীনতার সনদ” বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন-কিন্তু প্ৰস্তাবটি খুটিয়ে দেখলে কেবলমাত্র কথা ছাড়া বিশেষ কিছুই তাতে খুজে পাওয়া যায় না । কথার আড়ম্বরের আড়ালে আসল বস্তুর অস্তিত্বই নেই। কংগ্রেস কী করবে: ঠিক কয়েছে, যদি যুদ্ধের উদ্দেশ্য ও ভারতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকারের জবাব মনঃপুত ও আশানুরূপ না হয় ? প্ৰস্তাবটির বীরত্বব্যঞ্জক ভাষা থেকে সরলমতি পাঠক স্বাভাবিকভাবে বীরোচিত কাৰ্য আশা করেছিল। কিন্তু প্ৰস্তার প্রণেতাদের