পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাদের সঙ্গে লড়াই কারি ? সকালে কাগজগুলো দেখতে দেখতে কতকগুলো পরস্পরবিরুদ্ধ ব্যাপার আমার চোখে পড়ল। প্ৰথম পৃষ্ঠায়—এবং সম্ভবত (সংবাদের) গুরুত্ব অনুযায়ী-রয়েছে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি কংগ্রেসের মনোভাব সম্পর্কে প্ৰস্তাব । তারপরে আছে রামগড় কংগ্রেসের সময়সূচী । অতঃপর দেখা গেল বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটির উপর দীর্ঘ এক প্ৰস্তাব ! প্ৰথম প্ৰস্তাবে সবচেয়ে তাৎপৰ্যপূর্ণ বাক্যটি এই : “ওয়ার্কিং কমিটি সম্মানজনক আপসে উপনীত হইবার জন্য সর্বতোভাবে প্ৰয়াস চালাইয়া যাইবে, যদিও ব্রিটিশ সরকার কংগ্রেসের মুখের উপর দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিয়াছে।” যা ব্যাখ্যা করে বললে দাড়ায় : “আমরা ব্রিটিশ সরকারের পদলেহন করিয়া যাইব যদ্যপি তাহারা আমাদিগকে পদাঘাত করিয়াছে।” আমরা যে রাজনীতি বুঝি অথবা আধুনিক জগৎ যে রাজনীতি বোঝে। এ তা নয়-তবে সম্ভবত এ রাজনীতি বাইবেলী বা বৈষ্ণব ঐতিহ্যু-সম্মত । এই প্রকার নীতি একজনের বা জনকয়েকের মনোমত হতে পারে।-কিন্তু তা কি সমগ্ৰ জাতির কাছে গ্ৰহণযোগ্য, যো-জাতির কাছে কয়েকজনের খামখেয়ালীর চেয়ে, যে-স্বাধীনতা তার জীবনমরণ প্ৰশ্ন, সেই স্বাধীনতা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ? যে নীতি বলে, যে-পদযুগল আমাদের পদাঘাত করছে সেই পদযুগল আমাদের লেহন করতে হবে, সেই নীতি ভারতীয় জনগণ প্ৰত্যাখ্যান করে। কিনা তা দেখা ५sथन९३ बॉर्की उष्छ । e একই প্ৰস্তাবে নিম্নলিখিত অংশ আছে : “ওয়ার্কিং কমিটি ইহা অস্পষ্টভাবে জানাইয়া দিতে চায় যে, আইন অমান্যের জন্য সত্যকার প্ৰস্তুতির নিরিখ হইবে কংগ্ৰেসকর্মীদের নিজেদের চরকা চালানো, মিলের কাপড় পরিহার করিয়া খাদির আদর্শের পোষকতা করা