পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VSV 6ቐiማ ዏiርቒ ? বাংলাদেশের কাৰ্যভার প্রেসিডেন্ট নিজে গ্ৰহণ করেছেন। প্রদেশের সর্বত্র জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে কোন সুদূর প্রান্ত থেকে যে কেউ সরাসরি ওয়ার্কিং কমিটি বা প্রেসিডেন্টের কাছে একটা অভিযোগ পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে যে, তাতেই প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটিকে জবাবদিহির জন্যে তলব করা হবে । অতএব যারা নিরপেক্ষ দর্শক ‘তারা সংবাদপত্রের দীর্ঘ বিবৃতিগুলিতে দেখে থাকে একতা ও নিয়মনিষ্ঠার আদর্শের প্রতি কেবলমাত্র মৌখিক বন্দনা, যখন কাৰ্যক্ষেত্রে চলে কংগ্রেসের ভিতরকার রাজনৈতিক প্ৰতিপক্ষদের দমন এবং নিৰ্যাতন । ব্রিটিশ সরকারের বেলায় আপনার বড়লাটের বাড়িতে বারেবারে সেলাম জানাতে যেতে পারেন এবং যে পা আপনাকে লাথি মারে সেই পা লেহন করতে পারেন । অথচ আপনাদের বামপন্থী সহকর্মীদের বেলায় সবকিছু সত্ত্বেও আপনার আপনাদের সত্য ও অহিংসা নীতি অনুযায়ী সঙ্গতভাবেই সর্বপ্রকার সহিষ্ণুতা, সদ্ভাব ও উদারতা প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকতে পারেন এবং পূর্ণ আক্ৰোশে ও হিংস্রতার সঙ্গে প্ৰতিহিংসা নীতি চালিয়ে যেতে পারেন । এই জঘন্য কাহিনী কী নীতি শিক্ষা দেয় ? তা এই যে, দক্ষিণপন্থীদের কাছে ভারতের বামপন্থী আদর্শের তুলনায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ কম শক্ৰ । শেষেরটির সঙ্গে আপনার আপসে আসতে পারেন, কিন্তু প্ৰথমের ক্ষেত্রে শেষ পৰ্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। যদি ভারতের বামপন্থীদের উপর আঘাত হানে, আমাদের দক্ষিণপন্থী বন্ধুরা সম্ভবতঃ তার জন্যে দুঃখবোধ করার কোন কারণ পাবেন না । “ভারত যদি স্বাধীন হয় / আমরা তারে করব স্বাধীন / আমরা ছাড়া আর কেহ নয়”। বাংলায় এই ধরনের একটা ছড়া আছে। আমাদের দক্ষিণপন্থীরা আজ এই মতই ভাবছে।