পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের ওয়াকিং কমিটি ২রা ডিসেম্বর, ১৯৩৯এ “ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । ২৪শে নভেম্বর এবং পরবতী কয়েকদিন কলিকাতায় ফরওয়ার্ড ব্লকের সারা ভারত ওয়াকিং কমিটির বৈঠক বসে। সারা ভারত কিস।নিসভা এবং ন্যাশনাল ফ্রন্ট গ্রাপের মত বামপন্থী সংগঠনগুলির প্ৰতিনিধির নিমন্ত্রিত হয়ে তাতে যোগ দেন এবং তঁদের উপস্থিতি ও পরামর্শ খুবই সহায়ক হয়। স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী যিনি একাই একশো, সারা ভারত কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক হওয়া ছাড়াও তিনি ভারতের বামপন্থী আন্দোলনের প্রকাণ্ড এক ভরসাস্থল। এক পক্ষকালের মধ্যে তিনি অনুগ্রহ করে দুবার কলিকাতায় এসেছেন, দ্বিতীয়বার তিনি আসেন আমাদের সারা ভারত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং উপলক্ষ্যে । কমিটি অনেক চিন্তা করে অনেক বিচার-বিবেচনা করে কম বেশী গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ের উপর ষোলটি প্ৰস্তাব অনুমোদন করে। দৈনিক পত্রিকায় এই প্ৰস্তাবগুলি ইতিমধ্যে প্ৰকাশিত হয়েছে, তবু এই সঙ্গে এই সংখ্যায় সেগুলি প্ৰকাশ করা হচ্ছে । প্রধান প্ৰস্তাবটি ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির উপরে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি যুদ্ধনীতি এবং ভারতের জাতীয় দাবির প্রধান প্রধান বিষয়গুলি সম্পর্কে যে মনোভাব গ্ৰহণ করেছে এই প্ৰস্তাবে তা অত্যন্ত বিশদভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে কমিটির বিরুদ্ধ সমালোচনা করা হয়। এই প্ৰস্তাবটির প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকৃষ্ট, হওয়া উচিত। এর মুখ্য বক্তব্য এই যে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি কী করতে চায় ও তার কী মনোভাব এখনও পৰ্যন্ত প্ৰাঞ্জল করে বুঝিয়ে বলা হয়নি, যার ফুলে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট সংশয়ের মধ্যে রয়েছে। এই কমিটির সদস্যদের এবং মহাত্মা গান্ধীরও কোন কোন উক্তি ও বিবৃতি থেকে মনে হয় তঁরা সংগ্ৰাম চাইছেন। অপরগুলি থেকে বিপরীত ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে-যেমন, মহাত্মা গান্ধীর মন্তব্য যে, আইন