পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գo কোন পথে ? জন্যে গ্রেটব্রিটেনই দায়ী। সুতরাং ফ্রান্স নিবীৰ্য হয়ে গেল এবং স্বভাবত ব্রিটেনের শরণাপন্ন হল । তার ফলে রাশিয়া, জার্মানী এবং ইটালীর বাইরে যে ইওরোপ, আজ তা ব্রিটিশ বৈদেশিক নীতির দ্বারা শাসিত হচ্ছে । রাশিয়া একাগ্রভাবে বরাবর চেষ্টা করে এসেছে যাতে গ্রেটব্রিটেন, ফ্রান্স এমনকি পোল্যাণ্ডের সঙ্গেও একটা বোঝাপড়ায় আসা যায়। এই প্ৰয়াসের চরম ব্যর্থতা সম্পর্কে সুনিশ্চিত হবার পরই রাশিয়া জার্মানীর সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সম্পাদন করে। বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে সোভিয়েত রাশিয়ার পক্ষে এম. মলোটোভ-এর বিবৃতিগুলি প্ৰাঞ্জলতা ও বক্তব্যের সুস্পষ্টতার জন্যে প্ৰণিধানযোগ্য এবং সমস্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে দৃষ্টান্ত হওয়া উচিত। ফরওয়ার্ড ব্লকের সারাভারত কমিটির সম্পাদক এবং প্ৰাদেশিক কমিটির প্রেসিডেন্ট ভি. ডি. ত্ৰিপাঠির সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার অত্যন্ত তাৎপৰ্যপূর্ণ। আমরা আগে থেকে যা জানতাম তা সাধারণের চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠল-যথা-ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধে দমননীতি পুরোদমে চলেছে। ত্ৰিপাঠীজীকে উত্তরপ্রদেশে তার নিজের জেলা উনাও-এর মুকুটহীন রাজা বললে আখ্যাটি শোভন না হলেও অতান্ত সঙ্গত হয়। ফরওয়ার্ড ব্লকে তঁর প্রতিষ্ঠা ছাড়াও তিনি উনাও মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য। প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটির একসিকিউটিভ কমিটির সদস্য, নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির, উত্তরপ্রদেশ প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটির ওয়ার কাউন্সিলের সদস্য । এই রকম অসামান্য প্ৰতিষ্ঠাসম্পন্ন নেতাকে গ্রেপ্তার করার মর্মার্থ এই ঘটনাতেই নিহিত । ফরওয়ার্ড ব্লকের সারাভারত ওয়ার্কিং কমিটি আর যে-সব প্ৰস্তাৰ গ্ৰহণ করেছে তাতে বোঝান হয়েছে আমাদের উপর নানাদিক থেকে আক্রমণ চলেছে । একদিকে সরকারী নিপীড়ন, অন্যদিকে কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ডের অপ্রসম্য প্ৰতিহিংসা। ঠিক এই মুহুর্তে প্ৰথমের থেকে শেষেরটিই বেশীমাত্রায় বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু উভয়ের আক্রমণই আমরা কাটিয়ে উঠব।