পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जधांवांङ्ग १ऊँन ԳS) মজায় সোভিয়েত-বিরোধী । কিন্তু নাৎসীদের ক্ষমতা লাভের পরে রাশিয়ার প্রতি এবং রাশিয়া সংক্রান্ত সব কিছুর প্রতি তার বিদ্বেষ বেশ হ্রাস পায়। ক্রমশ সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতি কিছুটা দরদ সবার নজরে পড়তে থাকে এবং পত্রিকাটির আক্রোশের লক্ষ্য হয়ে ওঠে। নাৎসী জার্মানী। ইওরোপে যুদ্ধ বান্ধবার পরেও, এমনকি পূর্ব পোল্যাণ্ড সোভিয়েত রাশিয়ার অন্তভুক্ত হবার পরেও এই প্রবণতা বজায় ধকৈ । কিন্তু ফিনল্যাণ্ড ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে লড়াই বান্ধবার পর থেকে, আমাদের ‘ফ্রেণ্ড’-এর মাথা খারাপ হয়ে গেছে এবং সে যা লিখে চলেছে তা দায়িত্বশীল স্থিতধী: সাংবাদিকতার যুক্তি না হয়ে, পাগলের প্রলাপ হয়ে দাড়াচ্ছে । সম্ভবত এই পাগলামির ছিটটা আছে বলেই, তা অসৎ সাংবাদিকতার পথে নেমে আসছে। ২৪শে নভেম্বর ও তার পরের দিনগুলিতে কলিকাতায় যখন ফরওয়ার্ড ব্লকের সারা ভারত ওয়াকিং কমিটি আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল, সব পত্রিকা তার প্রস্তাবগুলি ছাপিয়েছে, এবং আমাদের সাংগঠনিক মুখপত্ৰ 'ফরওয়ার্ড ব্লকে' যে সম্পাদকীয়গুলি প্ৰকাশিত হয়েছিল, তা পুনঃমুদ্রণ করেছে, কিন্তু “দি ফ্রেণ্ড অফ ইণ্ডিয়া’ করেনি । তা না করলেও, ৪ঠা ডিসেম্বর কিন্তু “আপনাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।” এই শিরোনামে অত্যন্ত তাৎপৰ্যপূর্ণ এক প্রবন্ধের সূত্রে উল্লিখিত বিষয় সম্পর্কে সম্পাদকীয় স্তম্ভে মন্তব্য করা হয়েছে । “দি ফ্রেণ্ড অফ ইণ্ডিয়ার’ আমাদের জন্যে যে একটা বিশেষ দরদ আছে।--ভারতে তা কে না জানে ? এবং এই দরদ আরও গভীর হয়েছে যেহেতু তাকে আদালতে হাজির হয়ে জবাবদিহি দিতে হয়েছিল। কিন্তু এসব সত্ত্বেও, সাংবাদিকতায় সাধিতা বলে কি কিছু থাকবে না ? আগেকার দিনে যে সকল ভারতীয় জাতীয়তাবাদীকে 'প্ৰকাশ্যে হেয় প্ৰতিপন্ন করা দরকার হত তাদের মস্কোর দালাল বলে লাল ছাপ দেগে দেওয়া হত। কমিউনিজম ছিল একটা জুজু, যখন তখন সেই জুজুর ভয় দেখানো হত এবং কমিউনিস্টদের সোনায় ভারত ভরে যাচ্ছে এই ছবি সাধারণের চােখের সামনে তুলে ধরা হত।