পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ8 কোন পথে ? কিছুদিন পরে রোম-বালিন-টোকিও অক্ষ মস্কোকে হটিয়ে দেয় এবং স্বল্পকালের জন্যে রাশিয়া খাতির পায়। এই খাতিরের মূলে ছিল জেনেভার সঙ্গে সোভিয়েতের যোগ, না, ট্রটুস্কিকে স্তালিন-পন্থীদের অস্বীকার, না, ‘ফ্রেণ্ড’-এর দিক থেকে বার্লিনের উপর অধিকতর আক্ৰোশ, বলা ভার। কিন্তু বার্লিনকে চাঁটাবার জন্যে মস্কোর সঙ্গে আমাদের “ফ্রেণ্ড'-এর দোস্তি দেখতে মজা লাগত। ভারতীয় জাতীয়তাবাদীকে মস্কোর বন্ধু বললে আর বিপজ্জনক বলে গণ্য করা হত না । আসল বিপদ হয়ে দাড়াল নাৎসীদের প্রতি বা রোম-বাৰ্লিন-টোকিও অক্ষের অংশীদারদের প্রতি সহানুভূতি থাকা । আমাদের ‘ফ্রেণ্ড'-এর দৃষ্টিতে ভারতে কমিউনিস্ট মার্ক সোনার আমদানী বন্ধ হয়ে গেছে এবং এখন থেকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের মনকে যা বিষিয়ে দিতে শুরু করেছে তা অক্ষশক্তির সোনা । লেখকের বই ‘দি ইণ্ডিয়ান স্ট্রাগল ১৯১০-১৯৩৪' থেকে কয়েকটি বাক্য প্রসঙ্গচুতে করে তুলে নিয়ে নিজেদের সুবিধা-মাফিক ব্যবহার করা হয়েছে এবং ‘দি স্টেটসম্যানের’ স্তম্ভে ধারাবাহিকভাবে পরপর কতকগুলি নিন্দাসূচক প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হয়েছে। এই নিন্দাবাদ দেখে মনে পড়ে প্রায় বছর অ্যাটেক আগে ১৮১৮ সালের ৩ নম্বর রেগুলেশনে বিনাবিচারে লেখককে আটক রাখার ক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত করার জন্যে তার বিরুদ্ধে এই প্ৰকারই অপপ্রচারের अख्यिान्म bात्राgभा झgशछिव्ल ! স্বল্পকাল বন্ধ থাকার পর আবার আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার সূচীমুখ ৪ঠা ডিসেম্বরের প্রধান সম্পাদকীয় । এবারে আমাদের বন্ধুর একটা অসুবিধা রয়ে গেছে। কোন জুজার ভয় দেখানো হবে ? মস্কো, না, সন্ত্রাসবাদ, না, বার্লিন, বিপ্লব, না, আর কিছু ? এই সুস্পষ্ট মুশকিলের আসানের জন্যে যে দৈত্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তা হিটলার-স্টালিনের একটা মিশ্রণ। এবং এ দেশে এই আতঙ্ক জাগিয়ে তুলতে প্রয়োজনীয় যে পটভূমি প্ৰস্তুত করা দরকার তার জন্যে ওইপত্রিকার। ৬ই ও ৭ই ডিসেম্বর সংখ্যায় “ভারতে কমিউনিজম” নামে দুটি প্ৰবন্ধে সম্ভবমত সব রকমের শয়তানকে আমদানী করা হয়েছে।