পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጓኳ” (<Pof PCs ? আগেকার অনুগামীদের থেকে পৃথক করে দিতে পারে। নিয়মিত শুধু প্রচার চালিয়ে অথবা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় সংগ্ৰাম চালনা করে দক্ষিণপন্থী নেতৃত্বকে পৃথক করা যাবে এই রকম ধারণা করা ভুল। একই রকম ভুল হবে এই ধারণা করা যে, জাতীয় ভিত্তিতে আন্দোলন আরম্ভ করার জন্যে বামপন্থীদের মুখাপেক্ষী হবার আগে আমাদের দক্ষিণপন্থীদের আলাদা করে ফেলতে হবে। আমাদের একথা কখনোই ভোলা উচিত হবে না যে, বিশেষ বিশেষ অবস্থায় বামপন্থীরা সচল কোন নীতিকে রূপ দেবার জন্যে প্ৰায় অন্ধকারে যদি ঝাপ দেয়। তবেই দক্ষিণপন্থী নেতৃত্বকে সবচেয়ে ভালোভাবে পৃথক করা যেতে পারে ! এতে কিছু পরিমাণে অসমসাহসিকতা থাকতে পারে, তাই বলে তা যে গোয়ারতমি হবে এমন কথা নয়। কিন্তু আমরা কি করে বুঝতে পারব। এই ধরনের দুঃসাহসিকতার ফলে দক্ষিণপন্থী বা বামপন্থী পৃথক হয়ে যাচ্ছে কি না ? এই প্ৰকার প্রশ্নের জবাব দেওয়া কঠিন। এটি প্রধানত রাজনৈতিক সজ্ঞান, প্ৰজ্ঞার বিষয় । আজ আমাদের পক্ষে অনুমান করা সম্ভব, ১৯১৭ সালে লেনিনের অসমসাহসিকতা ব্যর্থ হলে তার পরিণামে কী ঘটত ? আমরা এ প্রশ্নও করতে পারি, ১৯১৬ সালের আইরিশ দুঃসাহসীরা তাদের বেপরোয়। হঠকারিতার ফলে রেডমনড়াইটু পাটিকে বিধ্বস্ত করার বদলে যদি নিজেদের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটাত তাহলেই বা কী হ’ত ? এই সঙ্গে বিবেচনা করুন, ১৯১৯ সালে গান্ধীজীর সত্যাগ্ৰহ, ত{ শুধু ব্যর্থ প্ৰয়াসই হয়নি, তা দেশকে জালিয়ানওয়ালাবাগের মর্মান্তিক ঘটনার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল । এবং ১৯২৩ সালের হিটলারের মিউনিক অভিযান, সারা জগতের কাছে এমনকি জার্মানদের নিজেদের কাছেও যা হাস্যকর বলে মনে হয়েছিল ? মস্কো, ডাবলিন, দিল্লী এবং মিউনিকের বিচিত্র দৃশ্যাবলীর মধ্যে কোনই মিল নেই, কিন্তু এদের অন্তনিহিত নীতিকথাটি এক । গতায়ু নেতৃত্বকে পৃথুক করার কোন বাঁধাধরা রাস্তা নেই। প্রায়শই অগ্রবর্তী