পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঠিক পন্থা rve বামপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে যখন জেহাদ চালানো হচ্ছে, ঐ ধরনের নানা আতঙ্ক যখন তৈরি করা হচ্ছে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তখনও পৰ্যন্ত নিজেদের মুখরক্ষা করতে কিন্তু ছাড়েনি। বামপন্থী বুলির যোগান দিতে কখনও কার্পণ্য করেনি এবং সর্বদা আশার বাণী শোনানো হয়েছে যে, কংগ্রেস শীঘ্রই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কয়েকটি প্রদেশ থেকে এবং বিশেষ করে প্রাক্তন মন্ত্রীদের মহল থেকে আমরা যে খবর পাচ্ছি তাতে এইসব আশার কোন ভিত্তি পাওয়া যাচ্ছে না। চতুর্দিক থেকে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসী কেবিনেটগুলি আবার গদিতে বহাল হবে এবং সেই উদ্দেশ্যে পর্দার আড়ালে কথাবার্তাও চালানো হচ্ছে । দেশের র্যারা প্ৰগতিশীল, যারা বৈপ্লবিক তঁদের সঙ্গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এবং মহাত্মা গান্ধীর কোনই যোগ নেই-এই অভিযোগ করা খুবই কঠিন, তবু অনিচ্ছাসত্ত্বেও আমাদের তা করতে ठूgbछ । ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে এদেশে দক্ষিণ ও বামশক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ও চিত্তাকর্ষক । আমাদের নেতৃত্বের উপরকার মঙ্গলে ক্ষমতার লোভ ভর করেছে।--যে ক্ষমতা স্বাধীনতা থেকে আসে। এ সে-ক্ষমতা নয়, এ সেই ক্ষমতা সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপাস করার ফলে যে ক্ষমতা লাভ করা যায়। সুতরাং সুযোগ দেখা দিলে দক্ষিণপন্থীরা। আপস করতে দ্বিধা করবেন না, কিন্তু জাতীয় সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও এবং সেই সঙ্কটে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বামশক্তির সঙ্গে বোঝাপড়া করার কথা তারা মনেও স্থান দেবেন না । এ হচ্ছে জঘন্যতম ক্ষমতার রাজনীতি বা কুটরাজনীতি। আমাদের সন্দেহ নেই, কংগ্রেসের ভিতরে দলগত দ্বন্দ্বকে সামনে রেখে তার আড়ালে বরাবর সত্যিকার শ্রেণীসংগ্ৰাম চলে আসছে। সংগ্রাম এড়িয়ে যাবার জন্যে সর্বশেষ যে ধোকাটি বানানো হয়েছে এবং যা যথাকালে ভারতীয় জনগণের উপরে তাদের নিজেদের নেতাদের সবচেয়ে বড় প্রতারণা বলে প্রমাণিত হবে, তা হচ্ছে *াম্রাজ্যবাদী সরকারের ছত্ৰতলে কনস্টিটিউয়েন্ট এসেমব্লিয়