পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ክ”8 কোন পথে ? ( সাংবিধানিক পরিষদ ) প্ৰস্তাব । ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ে আমরা কিছুটা মন দিয়ে পড়াশুনা করেছি এবং আমাদের মতে সাংবিধানিক পরিষদ, অবশ্য এই নাম যদি যথার্থ হয়, কেবলমাত্র ক্ষমতা দখলের পরেই জন্ম নিতে পারে। যেমন, কংগ্রেস ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় সমস্যা নিয়ে যদি সংগ্রামে লিপ্ত হয়, কংগ্রেসকে সর্বপ্রথমে জয়লাভ করতে হবে এবং ক্ষমতা আয়ত্তে আনার জন্য অস্থায়ী একটি সরকার গঠন করতে হবে । কেবলমাত্র এই রকম অস্থায়ী জাতীয় সরকারই ভারতের বিস্তারিত সংবিধান রচনা করার জন্যে কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্লি (সাংবিধানিক পরিষদ ) আহবান করতে পারে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি আপাতত যে এসেমব্লির প্রস্তাব করছে তা সর্বদলীয় সম্মেলনের কিছুটা অভিজাত সংস্করণ হতে পারে। কিন্তু কখনই তা কনস্টিটিউয়েন্ট এসেমব্লি ( সাংবিধানিক পরিষদ ) নয়। এর পরিণাম হবে আইরিশ কনভেনশনের মত। সেই কনভেনশন ছিল। লয়েড জর্জের মস্তিষ্কপ্রসূত। এই ধরনের এসেমব্লির সঙ্গে ভারতীয় জনগণের কোনই সম্পর্ক থাকা উচিত নয়, যখন তার একমাত্ৰ উদ্দেশ্য হবে আসল কর্তব্য থেকে আমাদের বিপথে চালিত করা, যেমন ১৯৩১ ও ১৯৩৩ সালে হরিজন আন্দোলন করেছিল । আমাদের নিজেদের পথ সুস্পষ্ট । আমরা এখন আমাদের আন্দোলনের সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী পৰ্যায়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি আমাদের পরবর্তী ধাপের জন্য যারা মনেপ্ৰাণে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধ তাদের সবাইকে জড়ো করতে হবে। আজকের সমস্যা শুধু কংগ্রে’ ওয়াকিং কমিটিকে আন্দোলনের ক্ষেত্রে নামতে বাধ্য করা নয়। তা আমাদের করতেই হবে । ওই ব্যাপারে আমরা যদি সফল হয়। তাহলেও মহাত্মা গান্ধী যতদিন আমাদের কর্ণধার, ততদিন সব সময়ে আরেক চৌরিচৌরা অথবা আরেক হরিজন আন্দোলন কিংবা আরেব গান্ধী-আরউইনচুক্তির আশঙ্কা থাকবেই। এই বিপদের জন্যে আমাদে{ আগে থাকতে তৈরি থাকতে হবে, ষাতে যখন সে সময় আসবে। আমর বেন তা সাফল্যের সঙ্গে প্ৰতিহত করতে পাৱি ।