পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরাণ-তত্ত্ব । 又@ ভয়ের কথা লিখিত আছে, ঐ সমস্ত কথা লোকদিগকে সৎপথে আনার জন্য মহম্মদের (আলার ) নিজের উক্তি ভিন্ন অন্য কিছুই নয় । বন্দেগীর জন্য জেন ও এনছান পয়দা করিয়াছি, এ কথা বলিলে খোদার অভাব আছে ইহা বুঝা যায়, এবং বান্দারও বান্দার কোনই প্রয়োজন নাই । বান্দা সম্বন্ধে উক্তি খোদার নহে, উহা মহম্মদের (আলার ) নিজের উক্তি ভিন্ন অন্য কিছুই নয় । ময়াহধ্যক্ষেণ প্রকৃতিঃ সূয়তে সচরাচরম । হেতুনানেন কৌন্তেয় ! জগদ্বিপরিবর্ততে। গীতা । আমার অধিষ্ঠান বশতঃই প্রকৃতি চরাচর সহিত এই জগৎ প্রসব করে। হে কৌন্তেয় ! এই হেতুই জগৎ নানরূপে বারম্বার উৎপন্ন হইয়া থাকে। অৰ্জ্জুন—স্থষ্টিকর এবং উদাসীনভাবে থাকা কি পরস্পর বিরোধী নহে । O ভগবান-আমি কিছুই করি না। তবে যে বলিতেছি সৃষ্টি করি—তুমি ইহার অর্থ স্থলভাবে বুঝিও না। আমার অধ্যক্ষতায় আমার অঘটন ঘটন পটীয়সী মায়া অনন্ত কোট ব্রহ্মাণ্ড সৃজন করিতেছে । আমি সাক্ষীস্বরূপ। শ্রুতিও বলেন “একো দেবঃ সৰ্ব্বভূতেষু গৃঢ়: সৰ্ব্বব্যাপী সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা । কৰ্ম্মাধ্যক্ষঃ সৰ্ব্বভূতাধিবাসঃ সাক্ষী চেতাঃ কেবলো নিগুৰ্ণশ্চ ” এক দেবতা সৰ্ব্বভূতে প্রচ্ছন্নরূপে সৰ্ব্বব্যাপী হইয়া, সৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্মারূপে