পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\o e কোরাণ-তত্ত্ব। সাধুকৰ্ম্মম্বারা তাহার উপচয় হয় না, অসাধুকৰ্ম্মদ্বারা তাহার অপচয় হয় না। তিনি সৰ্ব্বেশ্বর, তিনি ভূতপাল, তিনি লোকসমূহের বিভাজক ধারক সেতু । মন্তব্য –হিন্দুশাস্ত্রে যে স্বর্গ ও নরক বর্ণনা আছে উহা মূলে সত্য নয়, লোকদিগকে সৎপথে লইবার জন্য ও অসৎপথ হইতে নিবৃত্ত করার জন্য শাস্ত্রকারেরা নানারূপ বর্ণনা করিয়াছেন । কোরাণেও তাই ; স্বর্গ ও নরক থাকিতেই পারে না, হজরত মহম্মদ (আলা) আরবের মূখদিগকে সৎপথে আনার জন্য বহুপ্রকার ভয় পুনঃ পুনঃ দেখাইয়াছেন ও নানারূপ আরামের জিনিষ বেহেস্তে পাওয়া যাইবে, তাহার প্রলোভন দিয়াছেন । দেহ হইতে নিঃসরিত হয় যবে জীব । ইন্দ্রিয় সকল হয় ব্যাপার রহিত ৷ ভোগের নিবৃত্তি তার হয় সেইক্ষণে । স্মৃতির সাহায্যে পুনঃ ভুঞ্জে মনে মনে ॥ স্বর্গ ও নরক ভোগ হয় এইরূপ । নিজকৃত পূৰ্ব্বকৰ্ম্ম ফল অনুরূপ। গজল । “বেহেস্ত দোজখকথা, আমি উদ্দেশ না পাই । বিনা দেহে হর্ষ আর বিষাদ ত নাই। নিরাকার কৌশলেতে, আসিয়াছে আকারেতে, যাবে নিরাকারে অন্তে আর কিছু রবে নাই।