পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8રુ কোরাণ-তত্ত্ব । তাহা বিশেষরূপে প্রমাণিত হইয়াছে। বাসন ক্ষয় হইলে আর পুনর্জন্ম হয় না। এই দুনিয়াই জীবের বেহেস্ত ও দোজখ এই দুনিয়া ছাড়া জীবের আর ভোগের স্থান নাই । আর যখন দশম মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রী (উটণী )কে পরিত্যাগ করা হইবে ( দুধ ও বাছুর হইবার আশায় গর্ভিণী উষ্ট্র প্রসব হইবার সময় বড় আদরের সামগ্ৰী ) কেয়ামতে তাহাও পরিত্যাগ করবে। সুরা তকবির। পরিশিষ্ট ১১ আঃ দেখ । মন্তব্য–উীর মেছাল আরববাসীর জন্য। উল্পী শব্দে দুনিয়ার ধন, পুত্র, সম্পত্তি ইত্যাদি বুঝিতে হইবে। জীব যেদিন মৃত্যুমুখে পতিত হয় সেই দিনই ঐ সমস্ত জিনিস পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হয়। এই আয়েত দ্বারা কেয়ামত অর্থ মৃত্যু বেশ স্পষ্টরূপে মহাম্মদ (আলা) ইসারায় বুঝাইয়াছেন। এবং আকাশ হইতে পাণি নামান ( বর্ষণ করেন ) অনন্তর তাহা ( সেই পাণি ) দ্বারা জমিনকে তাহার মৃত্যুর পর জীবিত করেন, নিশ্চয় ইহার মধ্যে সেই দলের জন্য নিদর্শন (নিশানি) সকল আছে যাহারা জ্ঞানলাভ করে । সুরা রুম। পরিশিষ্ট ১২ আঃ দেখ । ( মন্তব্য—পুনঃ পুনঃ কেয়ামতের দিন পুনর্জীবিত করা হইবে ইহা বলা সত্ত্বেও এই আয়েত সম্বন্ধে চিন্তা করিতে বলিলেন কেন ? বৃক্ষ, লতা, গুল্ম ইত্যাদি যেমন মৃত্যুর পরেই পুনর্জীবিত হয় অর্থাৎ তাহদের বীজ হইতে নূতন বৃক্ষ, লতা, গুল্ম উৎপন্ন হয় সেইরূপ মৃত জীবও আপন বীজ হইতে পুনর্জীবিত হয়। মৃত বৃক্ষ কখনও পুনর্জীবিত হয় না, বৃক্ষের বীজ মৃত নহে উহা সজীব,