পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরাণ-তত্ত্ব । 83) নিজীব হইতে সজীব হইতে পারে না । উপরোক্ত মেছাল বিজ্ঞান অনুমোদিত নহে। খোদা এরূপ ভ্ৰমাত্মক মেছাল দিয়াছেন ইহা বলা যাইতে পারে না। মহম্মদ (আলা) অজ্ঞদিগকে বুঝাইবার জন্য ঐরাপ মেছাল দিয়াছেন। এবং তাহারা বলিয়াছে যে, আমাদিগের দুনিয়ার জেন্দেগানী ভিন্ন অন্য জেন্দেগানী নাই আমরা মরি ও বঁচি এবং জমান ( কাল ) ব্যতীত আমাদিগকে বিনাশ করে না, এবং তাহাদের এ সম্বন্ধে কোন এলেম ( জ্ঞান ) নাই, তাহারা অনুমান ভিন্ন করিতেছে না, এবং যখন তাহাদের নিকটে আমার স্পষ্ট নেশান (আয়েত ) ( পুনর্জীবিত করিতে সক্ষম তাহা ব্যক্তকারী আয়াত ) সকল পড়া হয় ( তখন ) ইহা বৈ তাহাদের দলীল নাই যে, তাহাবা বলে তবে আমাদের বাপদাদাদিগকে আন যদি তোমরা সত্যবাদী হও, সুর জাছিয়া । পরিশিষ্ট ১৩ আঃ দেখ । মন্তব্য—আরবের লোক অত্যন্ত অজ্ঞ ও বিচারজ্ঞানশূন্য ছিল এবং মহম্মদকে ( আলাকে ) জব্দ করিবার উদ্দেশ্যে বাপ দাদাগণকে পুনর্জীবিত করিয়া,তখনি দিতে বলিয়াছেন, মহম্মদ ( আল ) তাহদের হাত হইতে রক্ষা পাইবার জন্য কেয়ামতের দিন পুনর্জীবিত করা হইবে বলিয়া কাটাইয়া দেন। কেয়ামত কবে হইবে তাহ খোদার মালুম বলিয়াছিলেন। খোদার সঙ্গে যাহার কথা বাৰ্ত্ত হয় কেয়ামত কবে হইবে তাহ জানিয়া লইতে কোন বাধা ছিল কি ? প্রত্যেক জীবের মৃত্যুর পরেই তাহার কেয়ামত হয় অর্থাৎ তাহার পাপ পুণ্যের বিচার হইয়া মুক্তি বা পুনর্জন্ম হয়। কোন জীবের কবে মৃত্যু হইবে তাহার কোন