পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খোদা কেন কছম করিবেন ? খোদা বেহাজত বটেন, দুনিয়ার লোকের তাহার কথা বিশ্বাস অবিশ্বাস করা তাহদের ইচ্ছা । তাহাতে খোদার কোন লাভ বা ক্ষতি নাই। দুনিয়ার লোককে কোরাণে ইমান আনার জন্য তিনি যে কত কছম করিয়াছেন তাহার ইয়ত্ত্বা নাই । যথা—ফজরের কছম, দশরাতের কছম, জোর বিজোরের কিছম, সূর্য্যের কছম, চন্দ্রের কছম, নক্ষত্রের কছম, আকাশের কছম, জমিনের কচম ইত্যাদি শত শত কছম করিয়াছেন। পাঠক একবার বিচার করিয়া দেখুন এই সমস্ত কছম খোদার না মহম্মদের (আলার ) ? নিতান্ত অজ্ঞদিগকে সৎপথে আনিবার জন্য ও কছম করিলে তাহাদের দৃঢ়বিশ্বাস হইবে এই জন্যেই মহম্মদ (আলা) এই সমস্ত কছম করিয়াছেন। কোন কোন টীকাকার, কোরাণ মহম্মদের (আলার ) রচিত নহে এই কথা সাধারণকে বুঝাইতে যাইয় কছমের দ্বারা ঐ সমস্ত জিনিসের ইজ্জত বাড়াইয়াছেন এরূপ,ব্যাখ্যা করিয়াছেন । জোরবিজোরের কি ইজ্জত বাড়িয়াছে ? এসম্বন্ধে ইহাতেই যথেষ্ট বলা হইল। আবার দেখুন, বেহেস্তে ঠাণ্ডা হাওয়া পাওয়া যাইবে, পেয়ালার পর পেয়ালা পানি পাওয়া যাইবে । তথায় নহুর (নদী) থাকিবে, ঘাসযুক্ত জমিন থাকিবে, বৃক্ষের ছায়া থাকিবে, ফরাস বিছানা থাকিবে, তাকিয়া থাকিবে, সোণ রূপার অলঙ্কার, রেশমী কাপড়