পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরাণ-তত্ত্ব । و برایb ত্রিবেণী সঙ্গম যত্র তীর্থরাজ স উচ্যতে । তত্ৰমানং প্রকুববীত পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে ॥ (, ইড়া, পিঙ্গল, ও সুষুম্বা এই তিনটী নাড়ী নাসা মূলে একত্রিত হইয়াছে ; ঐটাই প্রকৃত ত্রিবেণী তীর্থ। ইহার ভেদ পীরের নিকট পাইবে । জীকাত । মালের জাকাত দিবার আদেশ আছে অর্থাৎ প্রত্যেক বৎসরে যাহ। লাভ করিবে তাহার চল্লিশ ভাগের এক ভাগ মিস্কিনকে, ( দীন হীন দরিদ্রকে ) ও ফকিরকে ( যাহার এক বেলার বেশী আহার সংস্থান নাই ) দিবে । ইহা ধনীর জন্য ব্যবস্থা, দীনহীন দরিদ্রের জন্য নহে । ইহার মূল উদ্দেশ্য পরোপকার। জীব হত্যা করিয়া দশজনকে খাওয়াইতে হইবে এটা ভ্ৰম ধারণ । জীব হত্য দ্বারা গরিবের কোন উপকার হয় না বরং ঐ টাকা তাহাকে নগদ দিলে প্রকৃত উপকার করা হয় । জাহেরা জাকাত “পুণ্য পরোপকারেচ পাপঞ্চ পরপীড়নে”। বাতুনী জাকাত যতদিন জীবের শ্বাস-প্রশ্বাস চলিতেছে ততদিন সে মালদার। অগাধ সম্পত্তি থাকে অথচ দম না থাকে তাহা হইলে তাহাকে কেহ আর মালদার বলে না। অতএব শ্বাসপ্রশ্বাসই 'প্রকৃত মাল ইহার জাকাত দিতে হইবে অর্থাৎ প্রতি দমই শেষ দম এই মনে করিয়া প্রতি দমেই খোদাকে স্মরণ করিবে । দিবা রাত্রে